সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এক মাসের দীর্ঘ দড়ি টানাটানির খেলা শেষ হয়েছে রাজস্থানে। কংগ্রেস হাইকম্যান্ড অর্থাৎ সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর হস্তক্ষেপে শান্তিচুক্তি হয়েছে রাজস্থানের বিদ্রোহী নেতা সচিন পাইলটের সঙ্গে। আর তারপর আজ নির্ধারিত সময়েই শুরু হয়ে গেল রাজস্থানে বিধানসভা অধিবেশন। তবে শুরুতেই চমক খেলেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী পাইলট। এক সময় যিনি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের কাছাকাছি বসতেন, এদিন তাঁরই আসস নির্ধারিত রয়েছে বেশ খানিকটা দূরে। দেখা যায়, বিরোধী লাগোয়া একটি আসনে বসেছেন মরুরাজ্যের তরুণ তুর্কি।
তবে দলে অন্দরে যে ফাঁটল এখনও রয়েছে, এদিন তা বিরোধীদের বুঝতে দেননি পাইলট। বরং পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত ধাতস্থ হয়ে ঝাঁঝালো মেজাজে বক্তৃতা শুরু করেন কংগ্রেস নেতা। চিরাচরিত ভঙ্গিমায় সুর চড়ান বিজেপিকে বিরুদ্ধে। এদিন তিনি আসন নিয়ে নিজের দলের ওপর দোষারোপ না করে জানালেন, আমি এখানে সীমান্ত এলাকায় রয়েছি। কিন্তু কেন আমি বিরোধীদের কাছাকাছি বসেছি, জানেন? আসলে দলের মধ্যে যে সবথেকে বেশি সাহসী এবং শক্তিশালী তাঁকেই কিন্তু সীমান্ত এলাকায় রাখা হয় কোনও শত্রুদের মোকাবিলা করার জন্য। এদিন অধিবেশন কক্ষে দেখা হওয়ার পর সৌজন্যমূলক হাসি ফুটে ওঠে গেহলট এবং পাইলটের মুখে। করমর্দনও করেন দুজনে।