ঘাড়ে কটা মাথা হেডস্যারের? প্রশ্নটা এখন বেশ ঘুরতে শুরু করে দিয়েছে ঘাটালের একের পর এক চত্বরে। কারন যে হেডস্যারকে নিয়ে এই প্রশ্ন উঠেছে তিনি কেন্দ্র আর রাজ্য দুই সরকারের নির্দেশিকা অগ্রাহ্য করে স্কুল খুলে দশম শ্রেনীর ক্লাস শুরু করে দিয়েছিলেন সোমবার থেকে। কতটা দুঃসাহসের জেরে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে কোন বড় মাথা কাজ করছে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে হাত গুটিয়ে বসে নেই রাজ্য সরকারও। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ওই প্রধান শিক্ষককে শোকজের নোটিস ধরানো হয়েছে। একই সঙ্গে এবার বেশ কিছু অভিভাবক দাবি করেছেন গোতা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন রাজ্য জুড়ে সাড়া জাগানো প্রাক্তন মহিলা পুলিশ আধিকারিক এবং বিজেপি সদস্য ভারতী ঘোষ।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সেপ্টেম্বর মাস থেকে স্কুল খোলার ভাবনাচিন্তা করছে। এনিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। তারপরেও প্রশাসনকে না জানিয়ে, স্কুল পরিদর্শককে না জানিয়ে, কোনও অনুমতি না নিয়ে কীভাবে তিনি স্কুল খুলে ক্লাস নেওয়া শুরু করে দিলেন? তবে ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন কিছু অভিভাবক। তাঁদের দাবি গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছেন রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন মহিলা পুলিশ আধিকারিক ভারতী ঘোষ। তাঁর নির্দেশেই নাকি হেডস্যারের এই বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত। তবে স্কুল শিক্ষা দফতর ইতিমধ্যেই শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে বৃন্দাবন ঘটককে।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের হাটসরবেড়িয়া বিধানচন্দ্র রায় হাইস্কুলে গত সোমবার থেকে দশম শ্রেনীর ক্লাস শুরু করে দেওয়া হয়। দুটি পৃথক পৃথক রুমে দশম শ্রেনীর পড়ুয়াদের নিয়ে সেই ক্লাস হয় সোমবার ও বুধবার। তবে দুই দিনই পড়ুয়ারা সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেনে, মাস্ক পরেই ক্লাস করেছে। শিক্ষক-শিক্ষিকারাও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পড়িয়েছেন। ওই স্কুলটিতে দশম শ্রেনীর মোট পড়ুয়া আছে ১৫২জন। তবে সোম ও বুধবার হাজির হয়েছিল জন পঞ্চাশ পড়ুয়া। স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ৩৭জন। ওই দুইদিন এসেছিলেন ২৫জন। বিজ্ঞান ও ইংরাজি এই দুই বিষয়ের ক্লাস নেওয়া হয় দুই দিনে। তবে দুই দিনই ৩ ঘন্টার বেশি ক্লাস হয়নি। কিন্তু সব থেকে বড় প্রশ্ন কার নির্দেশে স্কুল খুলে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? আর যদি সেই নির্দেশ কেউ না দিয়ে থাকেন তো কিভাবে এই নিয়মবিরুদ্ধ বেআইনি কাজ করলেন তিনি? আর শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়াদের অভিভাবকেরাই বা কি করে তা মেনে নিলেন?