কলেজের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভরতির ফর্ম তোলা কিংবা নথিপত্র জমা দেওয়ার ছবি এখন অতীত। কারণ করোনা পরিস্থিতিতে বদলে গিয়েছে প্রায় সবকিছুই। বর্তমানে সবই অনলাইনে। ভরতি প্রক্রিয়ার সমস্ত কাজ হবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তাই এবার পড়ুয়াদের কলেজে ভরতির আবেদনের প্রসেসিং ফি বেঁধে দিল রাজ্য।
মঙ্গলবার রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়েরর উপাচার্যদের চিঠি পাঠানো হয়। চিঠি লেখেন রাজ্য সরকারের বিশেষ সচিব শিলাদিত্য বসুরায়। তিনি জানান, এবার থেকে প্রতিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রসেসিং ফি হিসাবে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা পর্যন্ত নিতে পারবে। তার চেয়ে বেশি নেওয়া যাবে না। নির্দেশ মানা না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে কলেজে ভরতির ফি’র ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে জানা যায়নি।
গত ১০ আগস্ট রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে শুরু হয় অনলাইন ভরতি প্রক্রিয়া। আর ঠিক তারপর থেকেই উচ্চশিক্ষা দফতর এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আসছিল নানা অভিযোগ। তাঁরা শুনেছেন কোনও কলেজ প্রসেসিং ফি হিসাবে নিচ্ছে ৩৫০ টাকা। আবার কোনও কলেজ নিচ্ছে ৪০০ টাকা। বর্তমান পরিস্থিতি প্রায় সকলেরই আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীন। এই অবস্থায় তাই সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।