আগস্ট মাসের প্রথম দশ দিনে সম্পত্তি কর বাবদ প্রায় একশো কোটি টাকা জমা পড়ল কলকাতা পুরসভার কোষাগারে। এত বিপুল পরিমান পুরকর জমা পড়া একটা রেকর্ড বলে দাবি পুরসভার কর আদায় বিভাগের। লকডাউনের জেরে ২২ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বন্ধ ছিল পুরসভার সম্পত্তি কর বা অন্যান্য কর সংগ্রহের বিভাগ।
১ জুন থেকে আনলকে পুরকর আদায় শুরু হতেই ৩১ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ২৬০ কোটি জমা পড়ে পুরসভার কোষাগারে। কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে আগস্টের প্রথম দশদিনে পুরকর আদায়ে রেকর্ড গড়ায় সন্তুষ্ট পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
মঙ্গলবার ফিরহাদ বলেন, “করোনা ও আমফান, দুই দুর্যোগে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও পুরসভা বাড়ি বাড়ি যে বিপুল পুর পরিষেবা দিচ্ছে তাতেই খুশি হয়ে নাগরিকরা আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সম্পত্তি কর জমা দিচ্ছেন। করোনা মোকাবিলায় পুরসভা যে দেশের মধ্যে সেরা ভূমিকা নিচ্ছে তা স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু বিশিষ্টরা, এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারও বলছে। পুরসভার কাজে গর্বিত শহরবাসী তাই বকেয়া পুরকর জমা দিয়ে পরোক্ষে কোভিড যুদ্ধে শামিল হতে এগিয়ে এসেছেন।”
বকেয়া পুরকর আদায়ে উদ্যোগ নেন বিভাগীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত বিদায়ী ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। বিভাগীয় বৈঠক করে রীতিমতো কর্পোরেট স্টাইলে জোনভিত্তিক অফিসার ও ইনস্পেক্টরদের কর আদায়ের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন অতীন। বকেয়া সম্পত্তি কর জমা দিতে নাগরিকদের নানা সুবিধা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেন। প্রাক্তন ডেপুটি মেয়রের কথায়, “বরো ভিত্তিক মিটিংগুলি বকেয়া কর আদায়ে খুবই কার্যকর হচ্ছে। এছাড়া অনেকের ছোটখাটো পুরকর সমস্যা সরাসরি আমি যেমন শুনেছি, সঙ্গে সঙ্গে অফিসাররাও ব্যবস্থা নিয়েছেন।”