দেশজুড়ে আনলক-৩ চললেও, করোনা সংক্রমণের ভয়ে কলকাতার কেন্দ্রবিন্দু ধর্মতলায় অবস্থিত ময়দান মার্কেটে যেন এখনও লকডাউন পর্বেই আটকে। দোকানপাট খুলছে ঠিকই, তবে ক্রেতার দেখা নেই। অন্যান্য সময়ে আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এখানে গা গলানো মুশকিল হত। তবে করোনার জেরে এবার লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। হাতে গোনা কয়েকজন ক্রেতা আসলেও, পরিচিত দোকানেই ঢুঁ মারছেন তারা। ফলে মার্কেটের ছোট দোকানগুলির বিক্রি শিকেয় উঠেছে।
স্বাধীনতা দিবসের সপ্তাহে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় খেপের আসর বসে। এই বছর আবার ১৫ আগস্ট পড়েছে শনিবার। পরদিন রবিবার। একদিন কিংবা দু’দিনের ফুটবল টুর্নামেন্টের আর্দশ পরিস্থিতি। এই সপ্তাহে তো বাম্পার সেল হওয়ার কথা! কিন্তু কোথায় কী? করোনার আবহে কার্যত মাছি তাড়াচ্ছে ময়দান মার্কেট। কানামামার মতো ভরসা ক্যারম বোর্ড বিক্রি। করোনার জেরে গৃহবন্দী মানুষের অনেকেই এখন ক্যারম খেলেই অবসর সময় কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন।
করোনার পরবর্তী সময়ে পরিবর্তন দেখা গেছে মার্কেটে ঢোকার ক্ষেত্রেও। থার্মাল চেকিং ও হাত স্যানিটাইজ করার পরেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে কলকাতার সবচেয়ে বড় স্পোর্টস গুডস মার্কেটে। ৩৩ বছর ধরে ক্রীড়া সরঞ্জামের দোকান চালাচ্ছেন অভিষেক স্পোর্টসের মালিক পল্লব পাল। বর্তমানে মেরেকেটে কয়েকশো টাকা বিক্রি হচ্ছে তাঁর। আইএফএ লিগের জন্য অধিকাংশ দল তাঁর দোকান থেকেই জার্সি কিনত। অথচ এবার পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলছিলেন, “পরিস্থিতি সবার জন্যই এক। পেটের তাগিদেই দোকান খুলে রাখছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগের মত জমজমাট ব্যবসা হবে না। এটা আমরা সবাই মেনে নিয়েছি। সারাদিন দোকান খুলে রাখার খরচ কার্যত উঠছে না।”