লকডাউন নিয়ম অমান্যের অভিযোগ। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ দলের অন্তত ১০০০ জনের বিরুদ্ধে মহামারী আইনে মামলা দায়ের করতে চলেছে রায়গঞ্জ পুলিশ। এমনই খবর জেলা পুলিশ সূত্রে। মহামারী আইন মামলার তালিকায় রয়েছেন রায়গঞ্জের জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বজিৎ মণ্ডল, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও। সোমবার হেমতাবাদের প্রয়াত বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের স্মরণসভায় পুলিশের অনুমতি ছাড়াই অতিরিক্ত জমায়েত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পুলিশের এই সিদ্ধান্ত।
গত মাসে হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুর পর সোমবার প্রথম সেখানে যান রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিধায়কের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর কালীবাড়িতে স্মরণসভা যোগ দেন তিনি। অভিযোগ, জনপ্রিয় বিধায়কের স্মরণসভায় ভালই জনসমাগম হয়েছিল। মানা হয়নি ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি, অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না বলে অভিযোগ। সোমবার তা ঘিরে আরও বেশ কিছু বিশৃঙ্খলাই নজরে এসেছে জেলা পুলিশের। আজ সকালে রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপা জেলা পুলিশ দপ্তরে দিলীপ ঘোষ-সহ সভায় উপস্থিত অনেকের বিরুদ্ধে মহামারী আইনে অভিযোগ দায়ের করেন। তা খতিয়ে দেখে এবার মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার।
জেলা পুলিশের দাবি, রায়গঞ্জ বিএড কলেজে দেবেন্দ্রনাথ রায়ের স্মরণসভার জন্য বিজেপি যে আবেদন করেছিল, তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন কোনও জায়গায় স্মরণসভার জন্য অনুমতিও দেওয়া হয়নি। তাহলে কীভাবে সোমবার কালীবাড়ি চত্বরে জমায়েত করে সভা হল, এই প্রশ্ন তুলছে পুলিশ। করোনা আবহে কেউ লকডাউনের নিয়ম ভাঙলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আমলের মহামারী আইন লাগু করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে রাজ্য সরকার। এবার সেই আইনেরই প্যাঁচে পড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। কারণ, রাজ্যে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সাধারণ লকডাউন চলায় তার ন্যূনতম বিধিনিষেধ মানতে হবে প্রত্যেককেই। অথচ সোমবার রায়গঞ্জে বিজেপির সভায় তা লঙ্ঘিত হয়েছে।