এবার বিজেপির হামলার শিকার হলেন ঝাড়গ্রাম জেলার এক করোনা যোদ্ধা। সূত্রের খবর, সোনু প্রামাণিক নামের এক করোনা যোদ্ধাকে প্রচণ্ড মারধর করেছে একদল দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বছর তেইশের সেই যুবক। গতকাল রাতে লোহার রড দিয়ে তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁকড়া গ্রামের বাঁকড়া কর্মতীর্থকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। সেখানে ব্লক প্রশাসন সোনু প্রামাণিককে নিযুক্ত করে। তিনি বাঁকড়া কর্মতীর্থে থাকা ব্যক্তিদের দেখভাল করছিলেন। তাঁদের সময় মতো খাবার দেওয়ার কাজ করতেন সোনু। বাঁকড়া গ্রামের তালাইপাড়ায় তাঁর বাড়ি। বিজেপির লোকজন নাকি দীর্ঘদিন ধরে রটাচ্ছিল গ্রামের মধ্যে করোনা ছড়াচ্ছেন সোনু।
এরপরেই গতকাল রাতে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের খাবার দিতে যাওয়ার সময় পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের চোখের সামনে ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতী সোনুর উপর চড়াও হয়। তারা বিজেপি আশ্রিত বলে অভিযোগ। লোহার রড দিয়ে তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ভাঙাগড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই তাঁকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বর্তমানে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলার মুখপাত্র সুব্রত সাহা, ঝাড়গ্রাম শহর যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল পাত্র প্রমুখ। এই ঘটনায় সাঁকরাইল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছ সোনু প্রামাণিকের পরিবার। সোনুর বাবা লখিন্দর প্রামাণিক বলেন, “আমার ছেলেকে বিজেপির লোকজন পরিকল্পিত ভাবে মারধর করেছে। সমাজের ভালর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত এক করে কাজ করে ও। আইনি ব্যবস্থার উপর ভরসা আছে আমার। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।