মোট আক্রান্তের নিরিখে রাশিয়াকে পিছনে ফেলে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় এখন তৃতীয় স্থানে ভারত। তারপরেও রোজ নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে করোনা। এবার যেমন ফের ৬০ হাজারের গণ্ডি ছুঁল দৈনিক নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দিন চারেক ৬০ হাজারের গণ্ডিতে থাকার পর মঙ্গলবার নতুন সংক্রমণ কমে হয়েছিল ৫৩ হাজারোর কাছাকাছি। বুধবার তা ফের পৌঁছল প্রায় ৬১ হাজারে। এর জেরে দেশে মোট আক্রান্ত ২৩ লক্ষ ছাড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬০ হাজার ৯৬৩ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই সময়ের মধ্যে, আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৬ হাজার ৮৫৫ ও ১৯ হাজার ৭১০ জন। অর্থাৎ এক দিনের সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বে এক নম্বরেই রইল ভারত। ভারতে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৬৩৮ জন। প্রতিদিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। বুধবার তা দাঁড়িয়েছে ৮.৩১ শতাংশ।
শুরু থেকেই সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সে রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬০১ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৬৪৯ জন। সংক্রমণ তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ।সেখানে এখন মোট আক্রান্ত ২ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫৪৯ জন। সংক্রমণের নিরিখে চতুর্থ স্থানে থাকা কর্ণাটকে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৬১১ জন। তবে জুলাই থেকেই দিল্লীতে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধিতে লাগাম পড়ায় রাজধানীতে এখনও অবধি মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩৯১ জন। উত্তরপ্রদেশে মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৭৬৩ জন।
মৃত্যুর নিরিখে স্পেন, ফ্রান্স, ইতালিকে পিছনে ফেলে বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৮৩৪ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ৪৬ হাজার ৯১ জনের প্রাণ কাড়ল করোনা। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ১৮ হাজার ৩০৬ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট মৃত ৫ হাজার ১৫৯ জন ছাড়িয়েছে। দিল্লীতে সেই সংখ্যাটা ৪ হাজার ১৩৯ জন। যদিও ভারতে সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যানটা বেশ স্বস্তিদায়ক। এখনও পর্যন্ত মোট ১৬ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫৯৯ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৬ হাজার ১১০ জন।