এবার সময় আসছে রাফালের লাদাখ পাড়ি দেওয়ার। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চীনা সেনার সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত থামেনি। বরং নতুন করে আকসাই চীন ও তিব্বতে চীনা সেনার তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। দৌলত বেগ ওল্ডিতে তাই সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র বাড়াচ্ছে ভারতীয় বাহিনী। এই সময় উঁচু পাহাড়ি এলাকায় দিনে-রাতে কড়া নজরদারির জন্য প্রয়োজন রাফালের মতো মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফ্টের। নজরদারিও হবে আবার আকাশযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে চীনের যুদ্ধবিমানকে মুখোমুখি টক্কর দিতে পারবে রাফাল।
ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়েছে, হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি এলাকায় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পাঁচ রাফাল যুদ্ধবিমান। রাতের বেলা পাহাড়ি এলাকায় নজরদারি চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন পাইলটরা। প্রয়োজন হলে কীভাবে মিসাইল ছুড়তে হবে শত্রু ঘাঁটিতে তার প্রশিক্ষণও চলছে। বায়ুসেনা সূত্র জানাচ্ছে, রাফালের বিয়ন্ড ভিসুয়াল রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মেটিওর মিসাইল ও এয়ার-টু-গ্রাউন্ড স্কাল্প মিসাইলের পরীক্ষা করা হচ্ছে। ১৫৯৭ কিলোমিটার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে রাতের বেলা কড়া পাহাড়া দেবে রাফাল। মিসাইল-যুক্ত হয়েই টহলদারি চালাবে যুদ্ধবিমান।
প্যাঙ্গং লেকের উত্তরে ফিঙ্গার পয়েন্ট থেকে সেনা সরাতে নারাজ চীন। দুই দেশের সেনা কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পরেও সমাধানসূত্র মেলেনি। এদিকে উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে আকসাই চীনে সামরিক পরিকাঠামো, হেলিপ্যাড বানাচ্ছে চীনের সেনা। অন্যদিকে, তিব্বতের কাছে এয়ারবেসে চীনের যুদ্ধবিমানের ওঠানামা লক্ষ্য করা গেছে। ভারতীয় বায়ুসেনা জানাচ্ছে, চীনের তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ এয়ারক্রাফ্ট চেংড়ু জে-২০-র মুখোমুখি মোকাবিলা করার মতো শক্তি আছে রাফালের। কোনও কারণে চীনের ফাইটার জেট মুখোমুখি চলে এলে মিসাইল ছুঁড়ে কাবু করতে পারবে রাফাল। তাই পূর্ব লাদাখে মিরাজ, সুখোইয়ের মতো রাফাল ফাইটার জেটের প্রয়োজন পড়েছে বায়ুসেনার।