হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের তহবিলের অর্থে এবার করোনা মোকাবিলায় টিএল জয়সওয়াল হাসপাতাল, গাববেড়িয়া হাসপাতাল এবং হাওড়া জেলা হাসপাতালে মোট ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩টি ‘ট্রু ন্যাট’ মেশিন স্থাপন করা হল। এদিন ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভবানী দাস, হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এতদিন হাওড়া থেকে সংগৃহীত করোনা পরীক্ষার নমুনা কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হতো। আজ থেকে সরাসরি হাওড়াতেই এই পরীক্ষার সুযোগ মিলবে। কাল পর্যন্ত যে রিপোর্ট পেতে দুই দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো, এখন রিপোর্ট সঙ্গে সঙ্গে হাতে আসবে এবং চিকিৎসার শীঘ্রই শুরু হবে। হাসপাতালগুলিতে এই আধুনিক যন্ত্র বসাতে পেরে খুবই ভাল লাগছে বলে প্রসূনবাবু জানান।
হাওড়ায় সরকারি হাসপাতালগুলিতে যাতে আরও বেশি সংখ্যায় করোনা পরীক্ষা করা যায়, সেইজন্যই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে এদিন জানিয়েছেন হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ। সোমবার নিজের সাংসদ তহবিলের টাকা থেকে হাওড়া জেলা হাসপাতাল, টিএল জয়সওয়াল হাসপাতাল ও গাববেড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে একটি করে মোট তিনটি করোনা পরীক্ষার ‘ট্রু-ন্যাট’ মেশিন দেন তিনি। এর জন্যে খরচ পড়েছে ৩৪ লক্ষ টাকা। এদিন এই উপলক্ষে হাওড়া জেলা হাসপাতালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসূনবাবু এদিন বলেন, এই মেশিনগুলো বসানোর ফলে হাওড়ায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষের করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। আর তাড়াতাড়িও পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাবে। এখন সবক্ষেত্রেই পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো হতো। রিপোর্ট আসতে অন্তত দু’দিন সময় লেগে যেত। ফলে ক্রিটিক্যাল রোগীদের চিকিৎসা শুরু করতে খুবই সমস্যা হতো। এখন আর সেই সমস্যা থাকবে না। এই মেশিনে দু’ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাবে। ফলে ক্রিটিক্যাল রোগীর দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যাবে।