কোঝিকোড় বিমান দুর্ঘটনায় রহস্যের গন্ধ পাচ্ছিলেন অনেকেই। এবার সেই সব রহস্যের সমাধান করতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু করল কেরালা পুলিশ। শুক্রবারের দুর্ঘটনা কেন হল তা খতিয়ে দেখতে একটা বড়সড় ‘সিট’ গঠন করেছে কেরালা পুলিশ। তবে কেরালা পুলিশের এই সিট গঠনের ফলে একটা জিনিস স্পষ্ট। সেদিনের বিমান দুর্ঘটনা যে নিছকই দুর্ঘটনা নয়, সেই সন্দেহ করছে পুলিশও।
৩০ সদস্যের ওই তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে থাকছেন মালাপ্পুরমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জি সাবু। বিমান পরিষেবা আইনের একাধিক ধারা এবং ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৩৭, ৩৩৮ এবং ৩০৪ ধারায় তদন্ত করবে ওই বিশেষ তদন্তকারী দল। উল্লেখ্য, ৩৩৭ ধারায় কাউকে আঘাত করা, ৩৩৮ ধারায় কারও জীবন এবং সম্পত্তি বিপন্ন করা এবং গভীরভাবে আঘাত করা এবং ৩০৪ ধারায় গাফিলতির জেরে মৃত্যুর তদন্ত করা হয়।
জানা যাচ্ছে, সেদিনের দুর্ঘটনার পর মাত্র সাত মিনিটের মধ্যে উদ্ধারকাজ শুরু করে দিয়েছিল সিআইএসএফ। মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে পুলিশ, দমকল, মেডিক্যাল টিমে খবর পাঠানো হয় সিআইএসএফ কন্ট্রোল রুম থেকে। দুর্ঘটনার ৫ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে বিমানবন্দরের গেটে পৌঁছে যান স্থানীয়রা। সেসময় কালিকট বন্দরের এক আধিকারিক নিয়মের তোয়াক্কা না করে বেশ কিছু স্থানীয় ব্যক্তিকে ভিতরে প্রবেশ করার অনুমতি দেন। প্রাথমিকভাবে তাঁরাই বহু মানুষকে উদ্ধার করেন।