১৫ বছর আগে এক বিজেপি নেতা তথা বিধায়ককে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল রাকেশ পাণ্ডে নামের এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। তাকে এনকাউন্টারে খতম করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স।
পুলিশ সূত্রে খবর, কৃষ্ণানন্দ রাই নামের এক বিজেপি নেতার খুনে অভিযুক্ত ছিল রাকেশ। রবিবার লখনউয়ের সরোজিনী নগর পুলিশ স্টেশনের কাছেই এনকাউন্টারে মারা হয় তাকে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এসটিএফের ইন্সপেক্টর জেনারেল অমিতাভ যশ জানিয়েছেন, ‘সরোজিনী নগর পুলিশ স্টেশনের কাছে পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টার হয় রাকেশ পাণ্ডের। আগে থেকে পুলিশে কাছে খবর ছিল। সেই খবর অনুযায়ী তৈরি ছিল পুলিশ। এই এনকাউন্টারে প্রাণ হারায় রাকেশ।’
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মউ জেলার বাসিন্দা রাকেশ পাণ্ডে ওরফে হনুমান পাণ্ডের মাথার দাম ছিল ১ লাখ টাকা। শুধুমাত্র বিজেপি নেতাকে খুন করা নয়, আরও একাধিক অপরাধের জন্য পুলিশের খাতায় নাম ছিল তার।
২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর মহম্মদাবাদ কেন্দ্রের বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ রাই ও আরও ছ’জনকে খুন করা হয়। বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগ ওঠে রাকেশ পাণ্ডে, মুখতার আনসারি-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। সিবিআই আদালতে এই মামলায় অভিযুক্ত সবাইকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। কারণ, বিজেপি নেতা- সহ সাতজনকে খুনের অভিযোগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যারা সাক্ষী দেওয়ার জন্য রাজী হয়েছিলেন, তাঁরাও শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেন। তার ফলে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তার মধ্যে মুখতার আনসারিও ছিলেন। কিন্তু রাকেশ পাণ্ডেকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অবশেষে তাকে এনকাউন্টারে খতম করল পুলিশ।