এই করোনা আবহের মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব বিধির তোয়াক্কা না করে বাজি ফাটিয়ে চলছিল রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদযাপন। তাতে বাধা দেওয়ায় এবার গেরুয়া শিবিরের রোষের মুখে পড়তে হল মধ্যেপ্রদেশের এক পুলিশকর্তা এবং এক প্রশাসনিক আধিকারিককে। বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে কয়েকজন যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠতেই খারগোনে জেলা থেকে ওই দুজনকে সরিয়ে দিল মধ্যপ্রদেশ সরকার। মহকুমা পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) গ্ল্যাডউইন এডওয়ার্ডকরকে পুলিশের সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে এবং মহকুমা শাসক অভিষেক গেহলটকে রাজ্যের সচিবালয়ে বদলি করা হয়েছে।
খারগোনে জেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজি ফাটিয়ে সারাফা বাজারে ‘শান্তিপূর্ণ’ ভাবেই রামমন্দিরের ভূমিপুজো উদযাপন করছিলেন তাঁরা। সেই সময় কয়েকজন যুবককে পুলিশ মারধর করে বলে অভিযোগ। বাজেয়াপ্ত করা হয় বাজি। স্বর্ণ সমিতির বল্লভ ভাণ্ডারীর অভিযোগ, দু’জন আধিকারিক-সহ পুলিশের একটি দল মারধর করে। ১০-১১ জনকে থানায় নিয়ে যায়। এরপরই ‘অভিযুক্ত’ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপের দাবি জানান বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং স্থানীয় বিজেপি সাংসদ গজেন্দ্র সিং প্যাটেল। তারপরই দুই আধিকারিকের উপর বদলির খাঁড়া নেমে আসে।
সেই বদলির স্বপক্ষে যুক্তি খাড়া করে বিজেপি শাসিত রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মহকুমা শাসক এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। তাই তাঁদের বদলি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে যাবতীয় পদক্ষেপ করছে সরকার।’ যদিও বিজেপি শাসিত সরকারের বদলির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পুলিশকর্তারা। নাম গোপন রাখার শর্তে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘অনুষ্ঠানের সংবেদনশীলতার জন্য শহরে বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। খারগোনে এমনিতেই যথেষ্ট সংবেদনশীল এলাকা। যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হত, তাহলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বড়সড় দ্বন্দ্ব হত।’