শুরু হয়েছিল বিতর্কিত মানচিত্র দিয়ে। নয়াদিল্লীর তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও তিনটি ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধান সংশোধন করেছিল কাঠমাণ্ডু। তারপর থেকে ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার বিহার সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের উপর গুলিও চালিয়েছে নেপালের পুলিশ। এর জেরে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। এবার সেই বিহার সীমান্তের কাছে থাকা বিতর্কিত জমিতে হেলিপ্যাড বানানোর চেষ্টা করছে নেপাল। এই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরেই তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে ভারতের তরফে। এই ধরনের কাজ মেনে নেওয়া হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিহারের প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম চম্পারণ জেলার বাল্মীকি ব্যাঘ্র প্রকল্প-এর কাছে থাকা ভারত-নেপাল সীমান্তের বিতর্কিত জমিতে গত ৪ আগস্ট থেকে হেলিপ্যাড তৈরি করছে নেপাল। সীমান্তে দ্রুত অস্ত্র পৌঁছনোর জন্যই কাঠমাণ্ডু এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে খবর। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে পশ্চিম চম্পারণ জেলা প্রশাসনের তরফে স্বরাষ্ট্রদপ্তরকে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এপ্রসঙ্গে ওই এলাকায় কর্তব্যরত এসএসবি-র ২১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কমাডান্ট রাজেন্দ্র ভরদ্বাজ জানান, ‘কয়েকদিন আগে আমরা জানতে পারি বিতর্কিত জমিতে ছোট হেলিকপ্টার নামানোর জন্য হেলিপ্যাড তৈরি করছে নেপাল। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
বিহারের পাশাপাশি উত্তরাখণ্ড সীমান্তেও আচমকা তৎপর হয়ে উঠেছে নেপালের প্রশাসন। বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার নেপাল সীমান্তের কাছে থাকা নো ম্যানস ল্যান্ডে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে মুভমেন্ট করতে সক্ষম সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে নেপালের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে আপত্তি জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত ক্যামেরাগুলি খোলা হয়নি।