করোনা পরিস্থিতির জেরে গোটা দেশে এখনও আধা লকডাউন (আনলক-৩) জারি রয়েছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র বিশেষ ট্রেন চলছে। বাকি সমস্ত লোকাল এবং মেল বন্ধ। তবে শোনা যাচ্ছে, করোনা আবহ কেটে যাওয়ার পর রেলের নতুন টাইম টেবিলে বাদ পড়তে পারে পুরনো বহু ট্রেন। কম যাত্রী ওঠা নামা করেন সারা দেশে এমন ছয় হাজার স্টেশন বাদ পড়তে পারে ট্রেন থামার তালিকা থেকে। সারা দেশে বিভিন্ন ট্রেনে টিকিটের চাহিদা এবং প্রয়োজন খতিয়ে দেখে এ ভাবেই খোলনলচে বদলে নতুন টাইম টেবিল তৈরির পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে বলে খবর। একে জিরো বেসড টাইম টেবিল বলছেন রেল কর্তারা।
সারা দেশে কোনো ট্রেন চলছে না ধরে নিয়েই পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুযায়ী ট্রেনের সময় এবং যাত্রীদের মধ্যে তার চাহিদার মূল্যায়ন করবে রেল। পাশাপাশি বহু বছর ধরে চলে আসা টাইম টেবিলে এত দিন পুরনো ট্রেনগুলোকে লাইনে আটকে রেখে প্রায়ই নতুন ট্রেনকে পথ করে দিতে গিয়ে যাত্রীদের অনর্থক দেরির মুখে পড়তে হয়। ফলে অপ্রয়োজনীয় ট্রেন কমিয়ে প্রয়োজনীয় ট্রেনকেই এই তালিকায় অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে রেল সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে। ট্রেন অযথা লাইনে আটকে রাখার পরম্পরাকে একেবারেই জায়গা না দেওয়ার পদ্ধতিকেই জিরো বেসড বলছেন রেল কর্তারা।
ট্রেনের সংখ্যা কমানোর বিষয়টি স্থির করতে প্রত্যেক জোনের জেনারেল ম্যানেজারদের নিয়ে বিশেষ কমিটি গড়া হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বছর জুলাই মাসে সাধারণত নতুন টাইম টেবিল বা সময় সারণী প্রকাশিত হয়। করোনা আবহে এ বছর ওই কাজ বন্ধ রেখে সম্পূর্ণ নতুন টাইম টেবিল তৈরি করা হচ্ছে। মুম্বই আইআইটি ওই কাজে রেলকে সাহায্য করছে বলে খবর। তবে, এ ভাবে টাইম টেবিল তৈরির নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। যে সব স্টেশনে সারা দিনে ন্যূনতম ৫০ জন যাত্রী ওঠা নামা করেন না, সেগুলিকে স্টপেজের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথাও ভাবছে রেল। এই নীতির ফলে সারা দেশে অজস্র ছোট স্টেশন বাদ পড়তে পারে। এ ভাবে রেলের তালিকা থেকে ট্রেন কমানো এবং ছোট স্টেশন বাদ দেওয়ার পরিকল্পনার মধ্যে আসলে বেসরকারি ট্রেনকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা কাজ করছে বলেই অভিযোগ জানিয়েছে রেল শ্রমিক ইউনিয়নগুলো।