গত ২১ জুলাই শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান থেকেই আগামীবছর বিধানসভা নির্বাচনের জন্যে পুরোদস্তুর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল ছেড়ে চলে যাওয়া কর্মীদের উদ্দেশে সেদিনই তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, “যদি কেউ ভুল করে বিজেপিতে গিয়ে থাকেন, তাহলে তৃণমূলে ফিরে আসুন। কেউ যদি কংগ্রেস বা সিপিএমেও গিয়ে থাকেন, তাঁরাও ফিরে আসুন। মানুষের জন্যে কাজ করতে হলে তৃণমূলই একমাত্র জায়গা।” তৃণমূল নেত্রীর সেই ডাকের আগে থেকেই অবশ্য বিজেপি-সহ অন্যান্য দল থেকে তৃণমূলে ফের ‘ঘর ওয়াপসি’ শুরু হয়েছে। আর এদিন তৃণমূলে যোগ দিলেন আসানসোলের সমাজকর্মী চন্দ্রশেখর কুণ্ডু। সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং সাধারণ মানুষের কাছে যিনি পরিচিত ‘ফুডম্যান’ হিসেবে।
আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সঙ্গে যুক্ত থাকা চন্দ্রশেখর দীর্ঘদিন ধরেই পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করছেন। উম্পুনের পর দিনের পর দিন পড়ে থেকেছেন সুন্দরবনে। সেখানকার গরিব, অসহায় মানুষদের মুখে তুলে দিয়েছেন খাবার, তৈরি করে দিয়েছেন ঘর। শুধু কি তাই, অসহায়দের দু’মুঠো ভাত তুলে দিতে খুলেছেন ফুড ব্যাঙ্ক। বিভিন্ন রেস্তোরাঁ বা অনুষ্ঠান বাড়ির বেঁচে যাওয়া খাবার তিনি তুলে দেন রাস্তার অসহায় মানুষদের জন্যে। একইসঙ্গে অভাবের সংসারের স্কুলছুট শিশুদের ফের স্কুলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে চলেছেন তিনি। যৌন কর্মীদের নিয়েও নিরলস কাজ করে চলেছেন তিনি।
সেই তিনিই এদিন যোগ দেন তৃণমূলে। দলের রাজ্য দফতরে তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মতো একজন জনদরদী মানুষ তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ‘কঠিন’ আসানসোলে রাজ্যের শাসকদল বেশ কিছুটা অ্যাডভান্টেজ পাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন যোগ দিয়ে তিনি বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকেই আমি তৃণমূলে যোগ দিলাম। মানুষের জন্য কাজ করতে আমি বরাবরই ভালবাসি। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ফলে আমার সেই কাজে আরও সুবিধা হবে।”