আজ বেলায় জয়েন্টের ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই এবছরের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া নিয়ে চিন্তা শুরু হয়ে গেল। কারণ, এইবছর আরও অনেক কিছুর মতোই জয়েন্টের কাউন্সেলিংয়েও করোনার ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে। আর সেই কারণেই প্রতিবছরের মতো এবারের প্রক্রিয়া আর একইরকম থাকছে না। এবার পুরোটাই হবে অনলাইনে। এমনকি কলেজে রিপোর্টিংও। সুতরাং, করোনা আবহে ইন্টারনেটের ওপরে ভরসা রাখতে চাইছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডও।
রাজ্যে সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে ১০টি, যেখানে আসন সংখ্যা রয়েছে ২০৫৩টি। এছাড়া বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে ৮৬টি, যেখানে আসন সংখ্যা রয়েছে ২৮,৪৯৩টি। রয়েছে ১১টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে আসন সংখ্যা ২২৮৩টি। আর রয়েছে ৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সেখানে আসন সংখ্যা ২০৬২টি। সব মিলিয়ে মোট ১১৬ টি প্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা থাকছে ৩৪৮৯১ টি।
মনে করা হচ্ছে, এবারে আসন সংখ্যা কিছু বাড়তেও পারে। এইবছর অতিমারির বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই পুরো কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া কার্যকর হবে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপকুমার মিত্র এদিন ফলপ্রকাশের পর জানালেন, আগামী ১২ আগস্ট থেকে অনলাইনে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। যে সমস্ত পড়ুয়ারা এই বছর র্যাঙ্ক পেয়েছেন, তাঁদের কাউন্সেলিংয়ের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে না। জয়েন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে যে সমস্ত কমন সার্ভিস সেন্টার করা হয়েছে সেগুলিই ছাত্ররা ব্যবহার করতে পারবেন।
সূত্রের খবর, মোট ১৭২৮৮টি কমন সার্ভিস সেন্টার করা হয়েছে বোর্ডের পক্ষ থেকে। অনলাইন কাউন্সেলিংয়ের ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট আপলোডিং, রেজিস্ট্রেশন, সবই এখানে বিনামূল্যে করা যাবে। কোথায় কোথায় এই কমন সার্ভিস সেন্টার রয়েছে, সেগুলি পরিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেবে জয়েন্ট বোর্ড। সাধারণত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়াদের অনলাইনে কাউন্সেলিং হলেও রিপোর্টিং হয় প্রতিষ্ঠানে। প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়ুয়াদের রিপোর্ট করতে হয়। তবে এবার করোনা আতঙ্কে সবটাই হবে ভার্চুয়ালি। পড়ুয়ারা ভার্চুয়ালি রিপোর্টিং করতে পারবেন। তারপর যখন ক্লাস শুরু হবে, তখন সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা করলেই হবে। তবে প্রতিবারের মতোই এবারেও আসন সংখ্যা ফাঁকা থাকার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।