করোনায় দিনের রেকর্ড সংখ্যক ৫৬ জনের মৃত্যু হলেও, রাজ্যে করোনায় মৃত্যুহার কিন্তু ২ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে। একমাসেরও কম সময়ে মৃত্যুহার ১.৮৯ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। চারপাশে রোজ হাজারে হাজের সংক্রমণ ও মৃত্যুর ভিড়ে, এই পরিসংখ্যান কিন্তু বাংলার জন্য যথেষ্ট ইতিবাচক। করোনাযোদ্ধা স্বাস্থ্যকর্মীদের লড়াইয়ে মনোবল জোগাবে। এদিন নতুন করে ২,৯৫৪ জন করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন। সবমিলিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৮৬ হাজার ৭৫৪ জন। এর মধ্যে ২৩ হাজার ৮২৯ জন অ্যাক্টিভ আক্রান্ত।
রাজ্য সরকারের দাবি, করোনায় এ পর্যন্ত রাজ্যে যত মৃত্যু হয়েছে, তার ৮৬ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ ছিল কো-মর্বিডিটি। বাংলায় টেস্টের হার বাড়ায়, করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যে নমুনা টেস্টিংয়ের সংখ্যা ২৫ হাজারের গণ্ডি অতিক্রম করল। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, মোট টেস্টিংয়ের ২০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটের মাধ্যমে। বাকি ৮০ শতাংশ টেস্ট হয়েছে আরটি পিসিআর কিটে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের দাবি অনুযায়ী, রাজ্যজুড়ে ৪ হাজারের সামান্য বেশি কোভিড আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ১২০০ জনের অবস্থা সংকটজনক। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে কোভিড রোগী ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে হাসপাতালগুলিতে রোগীর কী অবস্থা, তার আপডেট দেওয়া হবে। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি হাসপাতালগুলির খবরও থাকবে।
রাজ্যে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর হার বেড়ে বর্তমানে ৭০.৩৪ শতাংশ হয়েছে। দেশের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। এদিন আরও ২,০৬১ রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে হাসপাতালগুলি থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬১,০২৩ জন।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আবারও ঘোষণা করেছেন, কোভিড আক্রান্তদের চিকিত্সায় প্লাজমা থেরাপির পাশাপাশি নগরীর কর্ড ব্লাড ব্যাঙ্কও কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিত্সায় ব্যবহার করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, টেলিমেডিসিন পরিষেবার মাধ্যমে এ বার থেকে কোভিড রোগীদের কাউন্সেলিং করবেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।