সাধারণত কেউ একবার কোভিডে আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠলে তার দেহে কোভিড বিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়। সেই অ্যান্টিবডিই তাঁকে দ্বিতীয়বার এই ভাইরাসের হাত থেকে আক্রান্ত হতে বাঁচিয়ে দেয়। কিন্তু করোনার ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই সেই হিসাব মিলছে না। সংখ্যাটা কম হলেও প্রায় সর্বত্র থেকেই দ্বিতীয়বার আক্রান্তের হদিস মিলছে। তাই এই মারণ ভাইরাসের গতিবিধি জানতে এবার শহরে শুরু হতে চলেছে সিটি ভ্যালু পদ্ধতিতে চিকিৎসা। এই পরিষেবা চালু করতে চলেছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের শিলমোহর পড়লেই খুব শীঘ্রই এই চিকিৎসা চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল মাঝি।
কোন করোনা রোগী একবার সেরে ওঠার পর দ্বিতীয়বার কেন একই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন? একবার সেরে ওঠার পর কোন রোগীর শরীরে কতটাই বা ভাইরাস থেকে যাচ্ছে, এই সমস্ত খুঁটিনাটি জানতে এবং সেই অনুযায়ী পরবর্তী চিকিৎসার পদক্ষেপ কি হতে পারে এই সবকিছুই স্বচ্ছভাবে জানা যাবে সিটি ভ্যালু চিকিৎসার পদ্ধতিতে। এ প্রসঙ্গে নির্মল জানিয়েছেন, ‘ভাইরাল লোড চিহ্নিত করে চিকিৎসা চাইছি আমরা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই ধরনের রোগীদের শরীরে ভাইরাল লোড অর্থাৎ ভাইরাসের উপস্থিতির মাত্রা কতটা তা পরিমাপ করতে হবে। সেই অনুযায়ী পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। সিটি ভ্যালু পদ্ধতিতে চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্যভবনে বিশেষজ্ঞ কমিটি চিন্তাভাবনা করছেন। আশা করছি এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা হলে এই সমস্যা মিটবে।’