ভোগ্যপণ্যের খুচরো মূল্য অপরিবর্তিত রাখতে রেপো রেট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পলিসি রেট একই রাখার কথা ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, মনিটারি পলিসি কমিটি সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সব রেট অপরিবর্তিত থাকবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্য তিনটি। অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করা। কোভিড ১৯ অতিমহামারী অর্থনীতিতে যে প্রভাব ফেলেছে, তা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করা। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এদিনের সিদ্ধান্তের ফলে রেপো রেট থাকছে ৪ শতাংশ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ককে যে হারে স্বল্পমেয়াদী ঋণ দেয়, তাকে বলে রেপো রেট। রিভার্স রেপো রেট থাকছে ৩.৩৫ শতাংশ। কিছুদিন আগে রয়টার্সের এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল, বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমতে পারে। বাস্তবে তা হয়নি।
এদিন ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠক করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, দেশের প্রকৃত জিডিপি এখন সংকুচিত হচ্ছে। চলতি আর্থিক বছরের প্রথমার্ধে তো বটেই, সারা বছরেই জিডিপি সংকুচিত হবে। এপ্রিল, মে মাসে দেশে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ খুবই কমে গিয়েছিল। এখন নতুন করে নানা সেক্টরে কাজ শুরু হচ্ছে। কিন্তু নানা জায়গায় বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। ফলে কয়েকটি অঞ্চলে ফের লকডাউন করতে হয়েছে।
ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্র আশা করছে, সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া ত্রৈমাসিকে বাড়বে চাহিদা। ধীরে ধীরে খারাপ অবস্থা কাটিয়ে ওঠা যাবে। আগামী আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের মধ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্র সংকট কাটিয়ে উঠবে। একইসঙ্গে শক্তিকান্ত দাস সতর্ক করে বলেন, এই সময় বিদেশে রপ্তানি কমবে। কারণ বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা চলছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যও এখন কমছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর জানান, বিভিন্ন ক্ষেত্রকে সাহায্য করার জন্য আরও ১০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে। তার মধ্যে পাঁচ হাজার কোটি পাবে ন্যাশনাল হাউসিং ব্যাঙ্ক। শক্তিকান্ত দাসের মতে, কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই এখন আগের চেয়ে অনেক কঠিন হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সক্রিয়ভাবে, সবদিকে সাযুজ্য রেখে অতিমহামারীর মোকাবিলা করতে হবে।