গতকালই ভূমিপুজো হয়েছে অযোধ্যার রামমন্দিরের। এর আগে জানা গিয়েছিল, উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ জেলার বরহাটা গ্রামেই গড়ে উঠবে রামচন্দ্রের বিশাল মূর্তি, যা নির্মাণের প্রাথমিক কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, সেই মূর্তি বসাতে লাগবে প্রায় ৮৬ একর জমি। আর প্রশাসনের তরফে সেই জমি অধিগ্রহণের নোটিশ ধরানো হয়েছে। যার পর থেকেই আতঙ্কের প্রহর গুনছেন গ্রামবাসীরা। সেই গ্রামে প্রায় ৩৫০টি পরিবারের দেড় হাজার মানুষের বাস। অধিকাংশেরই পেট চলে কৃষিকাজ করে। জমি গেলে কী ভাবে তাঁদের জীবন চলবে, জানে না কেউই।
এই পরিস্থিতিতেই এবার বিজেপি শাসিত কর্নাটকের হাম্পিতে তৈরি হল হনুমান জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। আর তাঁরাও ঘোষণা করে দিল, রামের যেমন মূর্তি হবে অযোধ্যায়, তেমনই হাম্পিতেও হবে হনুমানের আকাশছোঁয়া মূর্তি। তবে, রাম ভক্তদের আশ্বস্ত করেই বলা হয়েছে রামের মূর্তির চেয়ে ৬ মিটার কম হবে হনুমান মূর্তির উচ্চতা। জানানো হয়েছে, মূর্তির উচ্চতা হবে ২১৫ মিটার। আর অযোধ্যায় রামের মূর্তি ২২১ মিটার হওয়ার কথা।
জানা গিয়েছে, এই হনুমান মূর্তিটি তৈরি হতে সময় লাগবে আনুমানিক ৬ বছর। আর খরচ? আকাশছোঁয়া সেই মূর্তি তৈরি করতে খরচ পড়বে অন্তত ১২০০ কোটি টাকা! এখনও পর্যন্ত খবর, কর্নাটক সরকারও এই হনুমান মূর্তি তৈরির কিছুটা ব্যয়ভার বহন করবে, বাকি টাকা অনুদান হিসেবে সংগ্রহ করবে ট্রাস্ট। কিন্তু যেখানে, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারেই ধুঁকছে, টাকার দাম যেখানে ক্রমশ নিম্নগামী, যুবসমাজকে ঘিরে ধরছে বেকারত্ব, সেখানে সরকার কিভাবে এই ভগবানের মূর্তি তৈরিতে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে পারে, তা নিয়ে রীতিমত কেন্দ্র এবং সেই রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলছে বিরোধীরা।