“দেশবাসী গত সাড়ে ৪ মাসের লকডাউনে রীতিমত অস্থির হয়ে উঠেছে। তাহলে ভাবুন, আমরা কাশ্মীরিরা টানা ১৪ মাস লকডাউনে থেকে কী দুরবস্থা হয়েছে?” বক্তা সাধারণ কেউ নন, এই কলকাতা ময়দানে ২ প্রধানেই খেলা এবং জাতীয় দলের বিখ্যাত ডিফেন্ডার মেহরাজউদ্দিন ওয়াডু। গতকাল যখন গোটা দেশ অযোধ্যার রামমন্দিরের ভূমিপুজো নিয়ে মাতামাতিতে মত্ত, তখন মেহরাজ মবে করাচ্ছিলেন, এই ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের একবছর পূর্ণ হল।
সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই ভারতীয় দলের প্রাক্তন তারকা মেহরাজউদ্দিন বলছিলেন, “খেলোয়াড়ি জীবনের টপ ফর্মে মোহনবাগান আর ইস্টবেঙ্গলের মতো বড় ক্লাবে খেলেছিলাম। জাতীয় দলের জার্সি পরার সৌভাগ্য হয়েছিল। ওই সময়ের উপার্জিত অর্থেই তো গত এক বছর সংসার চলছে।” তাঁর বক্তব্য, অল্পবয়সী ছেলেদের বিপথে যাওয়া রুখতে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন রোল মডেল করেছিল জম্মু কাশ্মীরকে। ৩ বছর আগে প্রায়ই শ্রীনগরে আসতেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত। জানা যায়, সেসময়েই সুব্রত দত্তের হাত ধরে উঠে আসে রিয়াল কাশ্মীর।
গত বছর সমস্যা চরমে ওঠায় শ্রীনগরে রিয়াল কাশ্মীর আইলিগের মাত্র পাঁচটি ম্যাচ খেলতে পেরেছিল। দলটি ‘রিগ্রুপ’ হয়েছিল কল্যাণীতে ডুরান্ড কাপের আগে। তারপর চলে যায় মুম্বইতে। মেহরাজের বক্তব্য, “দুই প্রধান শ্রীনগরে এসে খেললেও ফুটবলাররা ছিলেন সেনাবাহিনীর কড়া নিরাপত্তা বলয়ে। আর এভাবেই শ্রীনগরে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলকে খেলিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা হয়েছিল যে, শ্রীনগরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রয়েছে। আসলে প্রদীপের নীচে জমাট অন্ধকার। আর ফুটবল তথা খেলাধূলা বন্ধ থাকায় উপত্যকার যুব সমাজ ক্রমশ পঙ্গু হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে।”