অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমি পুজোতে কি উপেক্ষিত হলেন বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা? তাঁদের পাঠানো পূজা সামগ্রী কি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে ভূমি পুজোর দায়িত্বে থাকা সংস্থা রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের তরফে? নানা সূত্রে এমন অভিযোগ উঠতেই মাথাচাড়া দিয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
কিছু দিন আগেই কাঁসর-ডঙ্কা বাজিয়ে ঠাকুরনগরের কামনা সাগরের জল এবং মাটি নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ এবং ঠাকুর পরিবারের অন্যতম সদস্য শান্তনু। ৩০ জুলাই তিনি জানান, রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এই জল-মাটি কাজে লাগলে ধন্য মনে করবেন মতুয়া ভক্তরা। কিন্তু বুধবার সেই জল-মাটি প্রত্যাখ্যানের খবর সামনে আসতেই প্রতিবাদে সরব হন তৃণমূল প্রভাবিত মতুয়া মহাসঙ্ঘের ঘনিষ্ঠ মতুয়া সম্প্রদায়ের ভক্তরা।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের সাংসদ এবং প্রয়াত বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের পুত্রবধূ মমতাবালা ঠাকুর বলেছেন, ‘মিথ্যে নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছিল শান্তনু। হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ ঠাকুরকে ভগবান বলে মানে মতুয়ারা। সে ক্ষেত্রে এই ঘটনায় মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে অপমান করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে মতুয়াদের গর্জে ওঠা উচিত।’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি এবং অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের পৃষ্ঠপোষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘মতুয়া সমাজকে যে ভাবে অপমান করা হয়েছে, সারা বাংলাকে যে ভাবে অপমান করা হয়েছে, তা মানতে পারছি না। শান্তনুকে কে অধিকার দিয়েছে এই ভাবে মতুয়াদের অসম্মান করার?’
হরিগুরুচাঁদ ভক্ত ও মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা নরোত্তম দাস বলেন, ‘এতে শুধু মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের সম্মানহানিই করা হয়নি, হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরকেও অসম্মান করা হয়েছে। প্রতিবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজেপি এবং শান্তনু ঠাকুর টের পাবেন, মতুয়ারা কী ধরনের আন্দোলন করতে পারে।’