বিগত কয়েক বছরে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় রাজ্য থেকে প্রথম ১৫-এর মধ্যে স্থান পাননি কোনও পড়ুয়াই। তবে এবার মিলল সাফল্য। প্রথম ১৫-তেই জায়গা পেলেন বাংলার কৃতী ছাত্র রৌনক আগরওয়াল। ইউপিএসসি-তে ১৩তম স্থান পেয়েছেন রৌনক। প্রসঙ্গত, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর সিভিল সার্ভিসে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ছিল রৌনকের। তার জন্য পরপর তিনটি ব্যাঙ্কের মোটা মাইনের চাকরির অফার খারিজ করে দেন। পরপর দু’বছর অবশ্য পরীক্ষায় সাফল্য পাননি রৌনক। তবুও আশা ছাড়েননি। তাই তৃতীয়বারের পরীক্ষায় শুধুমাত্র সাফল্য নয়, দেশের মধ্যে প্রথম ১৫-তেই চলে এলেন উত্তর কলকাতার এই কৃতী ছাত্র।
জাতীয় স্তরে ১৩ তম স্থানের পাশাপাশি, এ রাজ্য থেকেও প্রথম হয়েছেন রৌনক৷ এতে বাবা-মা সহ পাড়া প্রতিবেশীরা যারপরনাই খুশি। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথমদিকের স্থান হলেও বেঙ্গল ক্যাডারেই যোগ দিতে চান রৌনক। কারণ তাঁর বাবা চান, রৌনক এ রাজ্যের জন্যই কাজ করুক তার ছেলে। মঙ্গলবার ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরেই রৌনক জানান, “আমি রাজ্যের শিল্প এবং পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চাই। এটাই আমার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়ার পর। আমি এ রাজ্যের হয়েই কাজ করতে চাই।” এদিকে রৌনকের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গোটা বাংলাও। তাঁকে আগামী জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
একটা সময়ে রাজ্যের বহু মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী সিভিল সার্ভিসে সুযোগ পেতেন। কিন্তু বর্তমানে সিভিল সার্ভিসের ফলাফলে এ রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের সুযোগ পাওয়ার সংখ্যাটা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রৌনক বলেন, “এ রাজ্যে ছাত্রছাত্রীরা ডব্লিউবিসিএস এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেই চাকরিতে চলে যায়। সিভিল সার্ভিস বেশ কঠিন পরীক্ষা। তাই অনেকেই সেই দিকে এগোতে চায় না। আমার মনে হয় এ রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা সিভিল সার্ভিসে অন্যান্য রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনেক ভালো সুযোগ করে নিতে পারবে। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের পড়াশোনার উন্নতির জন্য অনেক ব্যবস্থা করেছেন।”