তাঁর মুখে বিজেপির মুখপাত্রদের মতো মন্তব্য শুনে এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, হাওড়া-সহ একাধিক জায়গায় রাজ্যপালকে পদ্মপাল বলে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছিল ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে আমজনতাকে। এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ‘পদ্মপাল’ বলে আক্রমণ করলেন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিনে ধনকড়ের উদ্দেশ্যে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। রাজ্যপাল না, পদ্মপাল বলা ভাল।’ উল্লেখ্য, কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতির প্রশংসা করেছিলেন ধনকড়। সেই কারণেই শিক্ষামন্ত্রীর রোষের মুখে পড়তে হল তাঁকে।
কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে এদিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্যের আপত্তি উপেক্ষা করে, কোনওরকম আলোচনা না করেই নতুন নীতি প্রকাশ করা হয়েছে, যা কাঙ্খিত ছিল না। তিনি জানান, কেন্দ্রের এই নয়া শিক্ষানীতিতে পর্যালোচনা করে দেখার জন্য একটি কমিটি তৈরি করছে রাজ্য সরকার। সেখানে সব বিশিষ্টরা থাকবেন। কেন্দ্রের এই নয়া শিক্ষানীতি পর্যালোচনা করে দেখবেন তাঁরা। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের নিয়ে তৈরি হয়েছে এই কমিটি। কমিটিতে আছেন পবিত্র সরকার, সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী, সুরঞ্জন দাস, সৌগত রায়, নৃসিংহ ভাদুড়ি, অভীক মজুমদার, সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী।
জানা গিয়েছে, এই কমিটি আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে নতুন শিক্ষানীতি পর্যালোচনা করে শিক্ষাদপ্তরে রিপোর্ট পেশ করবেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যের শিক্ষা দফতর কেন্দ্রের কাছে ফের চিঠি পাঠিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানাতে পারে বলে খবর। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের বক্তব্য, আসলে নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হলে এ রাজ্যে পরিকাঠামোগত কী কী সমস্যা হতে পারে, তা নিয়েই বিশ্লেষণ করবে বিশেষজ্ঞ কমিটি। রাজ্যের এই বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
