করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী ৫ আগস্ট রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর আয়োজন করেছে রাম মন্দির ট্রাস্ট। সেইদিন ভূমিপুজোর মধ্যে দিয়ে বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেইসঙ্গে আমন্ত্রিত সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী-সহ ২০০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। যা নিয়ে বিরোধীরা হইচই শুরু করেছে। কংগ্রেস-বাম দলগুলি করোনা আবহে রাম মন্দিরের অনুষ্ঠানের তীব্র বিরোধী। এবার সেই সুরেই ভূমিপুজোর অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার নিদান দিলেন রাজ ঠাকরে। মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার সুপ্রিমোর মতে, “মহামারী পরিস্থিতিতে এত বড় অনুষ্ঠান করার কোনও মানে হয় না। সবকিছু স্বাভাবিক হোক, তখন ভূমিপুজো করা হোক।”
তিনি বলেছেন, “এই মুহূর্তে রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর প্রয়োজন নেই বলে আমার মত। মানুষের এখন চিন্তাভাবনা অন্য কিছু নিয়ে। দু’মাস পরেও এই অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। তখন মানুষও সব চিন্তা ভুলে এই অনুষ্ঠানে শামিল হতে পারবেন।” পাশাপাশি কোভিড মোকাবিলায় মহারাষ্ট্র সরকার ব্যর্থ বলে অভিযোগ করেছেন রাজ। বলেছেন, “রোগ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার। মানুষের মধ্যে এত ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে যে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ। তাঁকে শুধু টিভিতেই দেখা যায়। গত চার-পাঁচ মাসে তাঁকে কখনও কাজ করতে দেখলাম না।”
কিছুদিন আগেই তাঁর খুড়তুতো ভাই তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে মহামারী আবহে ভারচুয়াল ভূমিপুজোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। শিব সেনা সুপ্রিমোকে যা নিয়ে পালটা আবার হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির কটাক্ষ করে বলে, এটা কোনও সরকারি বৈঠক নয় যে ভারচুয়াল পুজো হবে। একই কথা বলেছেন রাজ ঠাকরেও। ভাইয়ের পরামর্শকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, “এমন একটা অনুষ্ঠান কীভাবে ভারচুয়ালি হতে পারে? কত মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে এই মন্দিরের সঙ্গে। তবে এখন পরিস্থিতি নেই এত বড় অনুষ্ঠান করার। বরং সব স্বাভাবিক হওয়ার বিরাট অনুষ্ঠান হোক, আপত্তি নেই। কিন্তু এখন আগে মানুষ বাঁচুক।”