কিছুদিন আগেই বিশাখাপত্তনমে সাইনর লাইফ সায়েন্সেস নামের একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির গ্যাস লিক হওয়ায় একাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তার আগে বিশাখাপত্তনমেই ঘটে গিয়েছিল এলজি পলিমার রাসায়নিক কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস লিকের মতো দুর্ঘটনা। এবার বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটল বিশাখাপত্তনমেরই হিন্দুস্তান শিপ ইয়ার্ড লিমিটেডে। ক্রেন ভেঙে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ শ্রমিকের। আহত অনেকে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর।
শনিবার দুপুরে শিপ ইয়ার্ডে মাল খালাসের সময়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। হঠাৎ প্রকাণ্ড ক্রেনটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪ জনের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে মৃত্যু হয়েছে আরও ছ’জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে ক্রেনটি। আশপাশের ইয়ার্ডে যাঁরা কাজ করছিলেন তাঁরাও ওই শব্দ শুনে হিন্দুস্তান শিপ ইয়ার্ডে ছুটে আসেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বিশাখাপত্তনমের পুলিশ কমিশনার আর কে মিনা। তিনি জানিয়েছেন, কী কারণে ক্রেনটি ভেঙে পড়ল তার তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, হিন্দুস্তান শিপ ইয়ার্ড লিমিটেড প্রায় এক দশক আগে এই ক্রেনটি কিনেছিল। মাল তোলা, নামানোর যন্ত্রটির নিয়ম করে পরিচর্যা হত কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ক্রেনটি ভেঙে পড়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার নিয়ন্ত্রণাধীন এই শিপ ইয়ার্ডে এমন ঘটনায় অনেকেই অব্যস্থার অভিযোগ তুলছেন।