আর মাত্র কয়েকদিন পরেই রাখী পূর্ণিমা। অন্যান্য বছরের মত এই বছরেও রাখী প্রস্তুতকারকরা ৫-৬ মাস আগে থেকেই গ্রামের কারিগরদের দিয়েই রাখী প্রস্তুত করিয়েছেন। কেউ কেউ মোটা অঙ্কের টাকা রাখী ব্যবসায় ঢেলে ব্যবসা করেন। তবে এবছর সেসবেই জল ঢেলেছে করোনা। কারণ, করোনার জেরে এখনও গোটা দেশে লকডাউন চলছে। মাস দুই তিনেক আগে ভিনরাজ্য থেকে বা কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে স্থানীয় এলাকায় রাখী বানানোর কাজে হাত লাগিয়েছিলেন। কিন্তু লকডাউন যেন রাখী ব্যবসায়ীদেরও পিছু ছাড়ছে না।
বেশ কয়েকমাস ধরে রাখী প্রস্তুত করে এখন সেই রাখীই বিক্রি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এবার এমনই অভিযোগ করলেন পূর্ব মেদিনীপুরে ময়না ব্লকের বলাইপণ্ডা এলাকার প্রসিদ্ধ রাখী ব্যবসায়ী মিঠুন মাইতি ও নিমাই চাঁদ মাইতি। প্রতিবছর কলকাতা-সহ পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া জেলায় তাঁদের রাখী সরবরাহ করা হতো। এবছর এখনও পর্যন্ত কোথাও পাঠানো সম্ভব হয়নি। মিঠুনবাবু জনান, সরকার যদি রাখী ব্যবসায়ীদের একটু পাশে দাঁড়ায়, তা হলে উপকৃত হবেন তাঁর মতো বহু রাখী ব্যবসায়ী।
বেশ কয়েক বছর ধরেই তাঁরা এই রাখী ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয় মানুষজনদের কাজে লাগিয়ে তাঁরা রাখী প্রস্তুত করে থাকেন। এবছর লকডাউন থাকার জন্য স্থানীয় এলাকার ভিনরাজ্য থেকে কাজ ছেড়ে আসা মানুষজনও এই রাখী প্রস্তুতিতে কাজে লাগেন। কিন্তু লকডাউন ও ময়না ব্লক এলাকা বাজার বন্ধ থাকার কারণে মিঠুনবাবু বা নিমাইচাঁদ বাবুরা অস্থায়ী দোকান করলেও তা খুলতেই পারছেন না। মিঠুনবাবু জানান, “এই ব্যবসাতে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ধার-দেনা করে ব্যবসায় নেমেছিলাম। কিন্তু দোকান না খুলতে পারার জন্য ক্রেতার দেখা নেই। ফলে চরম সঙ্কটে আমরা।”