করোনা সংক্রমণের নিরিখে কলকাতা ও উত্তর চব্বিশ পরগনার পরেই রয়েছে হাওড়া জেলা। তার উপরে বিশেষ ভাবে প্রশাসনকে চিন্তায় ফেলেছে পূর্ব রেলের লিলুয়া ওয়ার্কশপ। এখানে করোনার ক্রমেই সংক্রমণ বাড়ছে।
সূত্রের খবর, রেল মন্ত্রকের নির্দেশে যেখানে অন্যান্য বিভাগে কর্মীদের হাজিরা ৫০ শতাংশ করা হয়েছে সেখানে লিলুয়া ওয়ার্কশপে একশো শতাংশ হাজিরার নিয়ম এখনও বহাল রয়েছে। এর ফলে এখানে কর্মরত মোটামুটি সাড়ে সাত হাজার কর্মীকে প্রত্যেক দিন কাজে যোগ দিতে হচ্ছে। বাস প্রায় না চলায় এবং লোকাল ট্রেন না থাকায় রেল কারখানার কর্মীরা রেলকর্মীদের জন্য স্পেশাল ট্রেনে চেপে কাজে যোগ দিতে আসছেন। সেখানে সামাজিক দূরত্বের কোনও বিধি মানা হচ্ছে না বলে সূত্রের খবর।
এ ব্যাপারে কর্মীরা সরাসরি কোনও কথা বলতে চাননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী জানিয়েছেন, লিলুয়া ওয়ার্কশপের কর্মীদের মধ্যে কমপক্ষে ৩১ জন করোনা সংক্রামিত। তাঁদের বেশিরভাগই এখন রেলের অর্থোপেডিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কয়েক জনের চিকিৎসা চলছে বাড়িতে থেকেই। রেলওয়ে মেনস ইউনিয়নের অভিযোগ, একসঙ্গে এত লোক কাজ করার ফলে ওয়ার্কশপে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলেই কর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। এর পাশাপাশি তাঁদের আরও অভিযোগ, স্পেশাল ট্রেনে গাদাগাদি করে তাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করতে আসেন। সেই ভাবেই ফেরেন। এর ফলেও কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এই পরিস্থিতিতে ওই কর্মী সংগঠনের পক্ষ থেকে ৫০ শতাংশ হাজিরার দাবি নিয়ে কর্মীরা সই সংগ্রহ করেছেন। সেটি তাঁরা পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে জমাও দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। স্বভাবতই এ নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। কর্মীদের দাবি এক দিন অন্তর হাজিরা দেওয়া হোক যাতে তা ৫০ শতাংশ হয়।