বর্তমানে ঝড়ের বেগে গোটা দেশেকরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি আজ মৃত্যুর নিরিখে ইতালিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে দেশের ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা রীতিমতো নিজেদের জীবন বাজি রেখে মানুষের সেবা করে চলেছেন। এবার তাঁদের বেতন নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার সম্মুখীন হল কেন্দ্র সরকার। দেশের স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকরাই করোনা যুদ্ধের সবচেয়ে বড় যোদ্ধা, তাই তাঁরা যেন সময়েই বেতন পান, কোনও অবস্থাতেই যাতে তাঁদের বেতন আটকানো না হয়। এই বিষয়ে আজ কেন্দ্রকে কড়া আদেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও একাধিক রাজ্যের করোনা চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ঠিক সময়ে বেতন পাচ্ছেন না৷ এই অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। কিন্তু এবার এই ঘটনায় কড়া অবস্থান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকেই তিরস্কার করল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে কেন্দ্র বড্ড গড়িমসি করছে। যা একেবারেই অনুচিত।
উল্লেখ্য, করোনার হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে সামনে থেকে লড়ছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু তা সত্বেও মাসের পর মাস তাঁরা বেতন পাচ্ছিলেন না বহু জায়গায়। সেই অভিযোগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক। সেই মামলার প্রেক্ষিতে তখন ১৭ জুন সুপ্রিম কোর্ট চিকিৎসকদের পক্ষেই সিদ্ধান্ত জানায়। চিকিৎসকদের বকেয়া বেতন মেটাতে কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু তা সত্বেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কেন্দ্র। তাই এবার আরও কড়া অবস্থান নিল সুপ্রিম কোর্ট।
যদিও এ বিষয়ে কেন্দ্রের আইনজীবী তুষার মেহতা এদিন সুপ্রিম কোর্টে জানায়, অধিকাংশ রাজ্য বেতন মিটিয়ে দিলেও মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, ত্রিপুরা এবং কর্নাটক সরকার এখনও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের বেতন দিচ্ছে না। এরপরই আরও ক্ষিপ্ত হয়ে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি এম আর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কোনও রাজ্য যদি কেন্দ্রের নির্দেশ না মানে, সেক্ষেত্রে কেন্দ্র কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে? বিপর্যয় মোকাবিলা আইন সরকারকে যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষমতা দিয়েছে। তাই কেন্দ্র চাইলেই আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে পারে।