দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যেই আগামী ৫ আগস্ট অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। দেশজুড়ে এমন পরিস্থিতির মধ্যে মোদীর অযোধ্যা সফরের পরিকল্পনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়। প্রধানমন্ত্রী আগে করোনা সামলে পরে অযোধ্যায় ভূমিপুজো করতে পারতেন বলে মনে করছে তৃণমূলও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের মত, প্রধানমন্ত্রীর উচিত এখন কোভিড-মোকাবিলার লড়াইকেই ধ্যানজ্ঞান করা। দেশজুড়ে অতিমারীর প্রকোপ বৃদ্ধির আবহে প্রধানমন্ত্রীর হাতে রাম মন্দিরের আসন্ন শিলান্যাস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আগেই। বাংলার শাসকদলও মনে করছে, কোভিড নিয়ন্ত্রণের ‘পবিত্র কর্তব্য’ পালনই এখন দেশের নেতার ‘পরম ধর্ম’ হওয়া উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বক্তব্য, মোদী যদি সত্যি রামচন্দ্রের জীবন ও নেতৃগুণ থেকে শিক্ষা নিতেন, তা হলে তিনি উপলব্ধি করতে পারতেন, ১৩০ কোটি ভারতবাসীর মঙ্গলসাধনই এখন তাঁর অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। কোভিড-বিরোধী লড়াইয়ে জয় পেতে দেশের মানুষ যে তাঁর নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে, সেটা প্রধানমন্ত্রীর উপলব্ধি করা উচিত ছিল বলে মনে করছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট অযোধ্যায় রাম মন্দিরের শিলান্যাস হতে চলেছে। রাজকীয় অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা হয়েছে। সরাসরি তা সম্প্রচারও করা হবে দূরদর্শনে। এ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে, আম ভারতবাসী যখন অতিমারীতে বিপর্যস্ত, করোনা সংক্রমণের গতি যখন ঊর্ধ্বমুখী, ঠিক তখনই এমন অনুষ্ঠান কি বাঞ্ছনীয়? তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন জানান, ‘ভগবান রাম মানুষকে নিজের পবিত্র কর্তব্য বা ধর্ম পালনের গুরুত্ব শিখিয়েছেন। তিনি ছিলেন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া নেতা। রামচন্দ্রের শিক্ষা থেকে পাঠ নিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপলব্ধি করা উচিত ছিল, ১৩০ কোটি ভারতবাসী কোভিড-বিরোধী যুদ্ধে তাঁর নেতৃত্বের দিকে এখন তাকিয়ে। কাতারে কাতারে মানুষ মরছেন। তাই কোভিড-বিরোধী লড়াইয়ে আরও বেশি মনোনিবেশ করতে ভূমিপুজো পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারত।’