গত জুন মাস থেকেই দেশজুড়ে ধীরে ধীরে কমছিল লকডাউনের কড়াকড়ি। কেন্দ্রের তরফে এর নাম দেওয়া হয়েছিল আনলক-১। সেই আনলক পর্বের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখার চেষ্টা চলছে এতদিন ধরে। আনলক-১ শেষ হয়ে গিয়েছে। আনলক-২-ও শেষের পথে। এবার আগামী মাসের প্রথম দিন থেকেই শুরু হবে আনলক-৩। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। আগস্টের শুরু থেকে কোন কোন ক্ষেত্রে মিলবে ছাড় আর কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় মিলবে না, আজ সেই সম্পর্কিত নির্দেশিকা জারি করে দিলো নবান্নও।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সপ্তাহে ২ দিন করে রাজ্যে লকডাউন জারি থাকবে। এর পাশাপাশি বাংলার কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে কড়া নজরদারি চলবে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক আনলক ৩-তে রাজ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে মিলবে না ছাড়।
১. স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, কলেজ-সহ যেকোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
২. বন্ধ থাকবে সিনেমা হল, সুইমিং পুল, বিনোদন পার্ক, পানশালা, অডিটোরিয়ামও।
৩. যেকোনও রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, বিনোদনমূলক, শিক্ষামূলক জমায়েত এইসময় করা যাবে না।
তবে কেন্দ্রের নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামী ৫ আগস্ট থেকে খুলবে যোগা সেন্টার এবং জিম। তবে কনটেইনমেন্ট জোনের ভিতর যোগা সেন্টার কিংবা জিম খোলা যাবে না।
এবার দেখে নেওয়া যাক, এই লকডাউনের মধ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় মিলবে।
১. যেকোনও রকমের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে সংযুক্ত কাজকর্মে কোনও বাধা থাকবে না। খোলা থাকবে ওষুধের দোকান।
২. আইন সংক্রান্ত, দমকলের মতো জরুরি পরিষেবা এইসময় মিলবে। এর পাশাপাশি বিদ্যুৎ, জলের মতো জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রেও কোনও বাধানিষেধ নেই।
৩. শিল্পক্ষেত্রে ইন-হাউস কর্মীদের নিয়ে কাজ চলতে পারে।
৬. কৃষিক্ষেত্রে, চা বাগানে কাজ হতে পারে।
৭. আন্তঃরাজ্য জিনিসপত্র পরিবহণে ছাড়।
৮. আরবিআই-এর বিধি অনুযায়ী ই-কমার্সের কাজ চলবে।
৯. সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে মিলবে ছাড়।
১০. রান্না করা খাবার হোম ডেলিভারি করা যাবে।
এর পাশাপাশি আজ নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে যে, কোনো জেলার জেলাশাসক তাঁর জায়গার করোনা পরিস্থিতি অনুযায়ী কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারেন।