২০১৯ সাল থেকেই মন্দার গ্রাসে দেশের অটোমোবাইল সেক্টর। তবে মনে করা হয়েছিল, গাড়ি বিক্রির চাকা একেবারে বসে গেলেও ২০২০ সালে নিশ্চয় হাল ফিরবে এই শিল্পে। কিন্তু নতুন করে গাড়ির বিক্রিতে কামড় বসায় করোনা। আর এই মারণ ভাইরাসের জেরে হওয়া ক্ষত কতখানি গভীর, তা আরও প্রকট করল এপ্রিল-জুনে মারুতি-সুজুকির আর্থিক ফল। যেখানে দেখা গেল, ১৭ বছরে এই প্রথম নিট লোকসানের মুখে পড়েছে তারা। বুধবার মারুতি জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে তাদের ক্ষতির অঙ্ক ২৪৯.৪ কোটি টাকা। ২০০৩ সালে শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত হওয়ার পরে লোকসানের বৃত্তে কখনও পা আটকায়নি তাদের। গত বছর এই একই সময় তাদের নিট মুনাফা হয়েছিল ১৪৩৫.৫ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় মার্চের শেষ থেকে শুরু দীর্ঘ লকডাউনে গাড়ির কারখানা থেকে শো-রুম, সব বন্ধ ছিল। বেশির ভাগ সময়েই একটিও গাড়ি তৈরি হয়নি, বিক্রিও হয়নি। মে মাস থেকে নামমাত্র ব্যবসা শুরু হয়। কিন্তু মারুতির দাবি, তখন তাদের ও সহযোগী সংস্থাগুলির কর্মী ও ক্রেতাদের সুরক্ষার বিষয়টিই প্রাধান্য পেয়েছে। ফলে কঠোর ভাবে সতর্কতা বিধি মেনে চলেছে তারা। তাই ওই তিন মাসে আক্ষরিক অর্থে সব মিলিয়ে যতটুকু উৎপাদন হয়েছে, তা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে মাত্র দু’সপ্তাহের সমান। তাদের মতে, এটা মাথায় রেখেই দেখতে হবে এই আর্থিক ফল। ওই ত্রৈমাসিকে আগের বছরের তুলনায় মারুতির গাড়ি বিক্রি করে আয় ১৮,৭৩৫ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ৩৬৭৭.৫ কোটি। গত বছর এই সময় ৪ লক্ষেরও বেশি গাড়ি বিক্রি হয়েছিল। এবার তা কমে হয়েছে ৭৬,৫৯৯টি গাড়ি।