এবার করোনায় কোনও ভোটকর্মীর মৃত্যু হলে, তাঁর বাড়ির লোককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। সেই মর্মেই দেশের সব কটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিব এবং মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের (সিইও) নির্দেশ দিল কমিশন। বলা হয়েছে, নির্বাচনী কর্তব্যে থাকাকালীন নিরাপত্তারক্ষী বা ভোটকর্মীর কোভিড-১৯-এ মৃত্যু হলে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে তাঁর পরিবার। একইসঙ্গে, নির্বাচনের কাজে যুক্ত থাকা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নিরাপত্তারক্ষীদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য আগেভাগেই প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করে রাখতে হবে জেলা নির্বাচন অফিসারকে। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন ভোটযন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (বেল) এবং ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (ইসিআইএল)-এর ইঞ্জিনিয়াররাও।
এতদিন ভোটের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিংসাত্মক হামলায় বা অসামাজিক কাজকর্মে (রাস্তায় মাইন, বোমা বিস্ফোরণ, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা) মৃত্যু হলে এতদিন ক্ষতিপূরণ পেতেন ভোটকর্মী বা নিরাপত্তারক্ষীরা। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হল করোনাও। ক্ষতিপূরণ হিসাবে সেই টাকা সংশ্লিষ্ট মৃতের পরিবারকে দেওয়ার জন্য দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনিক কর্তার কাছেই নির্দেশ পাঠিয়ে দিয়েছে কমিশন।
সাধারণত, একটি জায়গাতেই ভোট নিতে যান ভোটকর্মীরা। কখনও দু’জায়গাতেও যেতে হয় তাঁদের। কিন্তু বিভিন্ন দফায় নির্বাচন হলে অনেক জায়গাতে বুথের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলান একই নিরাপত্তারক্ষী। ফলে তাঁদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ভোটের দায়িত্বে থাকাকালীন কেন্দ্রীয় বা রাজ্য পুলিশের কর্মীরা সংক্রমিত হলে তাঁদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং নিভৃতবাসের ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য প্রশাসনকেই। এই কাজে পদক্ষেপ করবেন জেলা নির্বাচন অফিসার। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা ও নিভৃতবাসের বন্দোবস্ত রাখতে হবে। এদিন এমনটাও জানিয়েছে কমিশন।