বাংলার রাজনীতিতে ইন্দ্রপতন। প্রয়াত হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
বুধবার গভীর রাতে বেলভিউ হাসপাতালে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ২১ জুলাই থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সোমেনবাবু। কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দু’দিন আগেও তাঁর ডায়ালিসিস হয়। বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে তিনি মারা যান।
প্রথমে ঠিক ছিল, হাসপাতাল থেকে সোমেন মিত্রকে নিয়ে যাওয়া হবে রডন স্ট্রিটে, তাঁর বাসভবনে। কিন্তু পরে এই সূচিতে বদল করা হয়। হাসপাতাল থেকে সরাসরি সোমেন মিত্রকে নিয়ে যাওয়া হয় বিধান ভবনে। আসলে ব্যক্তি সোমেন মিত্রর থেকেও তো রাজনৈতিক সোমেন মিত্রের পরিচিতি অনেকটা বেশি। জীবনের দীর্ঘ সময় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেই নিজেকে সমর্পণ করেছিলেন ডানপন্থী রাজনীতির বর্ষীয়ান নেতা। শেষবেলায়ও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে প্রিয় ‘ছোড়দা’কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন দলীয় কর্মীরা। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনেই চলছে শ্রদ্ধা জানানোর পালা।
দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রদেশ কংগ্রেস ভবন থেকে বেরবে সোমেন মিত্রর দেহ। যাবে বিধানসভা ভবনে। ১৯৭২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিধায়ক হয়ে বারবার এই ভবনে পা রেখেছেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিয়ে দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে গিয়েছেন। হয়ে উঠেছেন অনেকের আইডল। ঘণ্টা খানেক বিধানসভা ভবনে তাঁর দেহ শায়িত থাকবে, চলবে শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। এরপর দেহ পৌঁছবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বর্তমান বাসভবন, ৩, রডন স্ট্রিটের বাড়িতে। পরিবারের সদস্যরা সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। এখনও পর্যন্ত স্থির করা সূচি অনুযায়ী, বিধানসভা ভবন থেকে সোমেন মিত্রর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে আর্মহার্স্ট স্ট্রিটে, তাঁর পৈতৃক বাড়িতে। এরপর নিমতলা শ্মশানে হবে শেষকৃত্য। এদিন সোমেন মিত্রর শেষযাত্রার দিকে দিনভর নজর থাকবে সকলের।