আগামী ১৪ আগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের ঠিক প্রাক্কালে রাজস্থানে বিধানসভা অধিবেশন বসবে। গতকাল এমনটাই ঘোষণা করেছেন রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। এরপরই হরিয়ানা থেকে বিদ্রোহী নেতা শচীন পাইলটের অনুগামীরা জানিয়ে দিলেন, অধিবেশন বসলে তাঁরা অবশ্যই উপস্থিত হবেন বিধানসভায়।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, তাঁরা জয়পুরে ফেরার আগে নিরাপত্তা চাইতে পারেন। কিন্তু কবে তাঁরা রাজস্থানে ফিরবেন তা জানা যায়নি। বিদ্রোহী বিধায়করা যদি অধিবেশনে উপস্থিত না হন, তাহলে নিয়মমতো তাঁরা ডিসকোয়ালিফায়েড হবেন। এর আগেই স্পিকার সি পি যোশি তাঁদের ডিসকোয়ালিফায়েড করতে চেয়ে নোটিশ দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজস্থান হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে তিনি এখনও অবধি কোনওরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি।
এদিকে, মরুরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট দাবি করেছেন, তাঁর পক্ষে ১০২ জন বিধায়ক আছেন। ২০০ সদস্য বিশিষ্ট বিধানসভায় গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে যতজনের সমর্থন দরকার তার চেয়ে মাত্র একজন বেশি আছেন গেহলটের পক্ষে। শচীন পাইলটের অনুগামী ১৮ জন বিধায়ক এখন হরিয়ানায় আছেন। কিন্তু তাঁদের দাবি, মোট ৩০ জন বিধায়ক তাঁদের সমর্থন করছেন। বিদ্রোহী বিধায়করা যদি বিধানসভায় আস্থাভোটের সময় কংগ্রেসের বিপক্ষে ভোট দেন, অশোক গেহলট রীতিমতো সমস্যায় পড়বেন। কারণ দলের হুইপ অমান্য করে ভোট দেওয়ার জন্য বিদ্রোহীরা ডিসকোয়ালিফায়েড হবেন ঠিকই, কিন্তু তার আগে সরকারের পতন ঘটবে।
রাজস্থানে বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা এইমুহূর্তে ৭২। এছাড়া কয়েকটি ছোট দল ও নির্দল বিধায়ক মিলিয়ে বিধানসভায় বিরোধীদের পক্ষে আছেন ৯৭ জন। এর মধ্যে বিএসপি নেত্রী মায়াবতী রাজস্থানে তাঁর দলের ছ’জন বিধায়ককে নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা যেন কংগ্রেসের বিপক্ষে ভোট দেন। যদিও সেই ছয় বিধায়ক গত সেপ্টেম্বর মাসে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। বিজেপি থেকে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন ছয় বিএসপি বিধায়ক। আদালতে ঠিক একই অভিযোগ করেছে বিএসপি-ও।