অন্যান্য বছর এমন সময়ে নিউমার্কেট থেকে হাতিবাগান কিংবা দক্ষিণের গড়িয়াহাট—নতুন কালেকশনের খোঁজ শুরু করে দেয় জনতা। কিন্তু এবার সেসবের বালাই নেই। করোনা আবহে পুজো আদৌ কী ভাবে হবে তাই নিয়ে চিন্তিত সকলে। তবে পুজো মণ্ডপে কী কী বিধি মানা যায় তার একটা প্রস্তাব প্রশাসনকে দিল ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব।’ মণ্ডপের গঠন থেকে ব্যারিকেডের ব্যবস্থা, আলো থেকে বরণ, সিঁদুর খেলা—সব মিলিয়ে কয়েক ডজন বিধির কথা বলা হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের ফোরামের তরফে।
তবে কী ভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন করা যায় তার একটা খসড়া গাইডলাইন প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। এর পরের কাজটা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক আধিকারিকদের। তারাই পুজোর বিধি চূড়ান্ত করবেন।ফোরামের তরফে বলা হয়েছে, প্যান্ডেল এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে বাইরে থেকে প্রতিমা দেখা যায়। তাহলে মণ্ডপের ভিতরে ছোট জায়গায় জটলা কমানো যাবে। ভিতরের কারুকার্যও যথাসম্ভব কমানো উচিত বলে মনে করছে ফোরাম। একসঙ্গে ২৫ জনের বেশি মণ্ডপে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। প্রত্যেকের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। ব্যারিকেড করে দূরত্ব বজায় রেখে যাতে দর্শনার্থীরা দাঁড়ান তা নিশ্চিত করতে হবে উদ্যোক্তাদের।
পুজো উদ্যোক্তাদের কেন্দ্রীয় সংগঠনের তরফ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি মণ্ডপের বাইরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা বাধ্যতামূলক করা উচিত। দিনে অন্তত একবার মন্ডপ স্যানিটাইজ করতে হবে। একই সঙ্গে থার্মাল গানও রাখতে হবে মন্ডপে প্রবেশ পথের সামনে। কারও গায়ে তাপমাত্রা থাকলে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। আলো জাঁকজমক না করার পরামর্শ দিয়েছে ফোরাম।
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেছেন, “সব দিক ভেবেই এই বিধি মানার তালিকা খসড়া আকারে প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। পুজো যেমন হবে তেমন সামাজিক দায়িত্বও কমিটিগুলিকে ভুললে চলবে না। কারণ আমরা সবাই সমাজকর্মী।”