সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর প্রায় ৪৩ দিন পেরিয়েছে। এই প্রথম সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সুশান্তের বাবা কৃষ্ণ কুমার সিং। পটনার রাজেন্দ্র নগর থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন তিনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মুম্বই গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিহার পুলিশ।
সুশান্তের বাবার করা অভিযোগে রিয়া ও আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে চুরি, আত্মহত্যায় প্ররোচনার মতো অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সুশান্তের মৃত্যুর কয়েক দিন আগে পর্যন্ত তাঁর বান্দ্রার ফ্ল্যাটেই থাকতেন রিয়া। কিন্তু তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার কয়েক দিন আগেই সেই ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে আসেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ছ’পাতার এফআইআর দায়ের করেছেন সুশান্তের ৭০ বছর বয়সী বাবা। সেই অভিযোগের পরে দুই ইন্সপেক্টর ও দুই সাব ইন্সপেক্টর মুম্বই গিয়েছেন তদন্তের জন্য। সুশান্তের বাবার তরফে রিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬, ৩৪১, ৩৪২, ৩৮০, ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, চুরি, বিশ্বাসভঙ্গ, বেআইনিভাবে সম্পত্তি লিখিয়ে নেওয়া প্রভৃতি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এফআইআরে সুশান্তের বাবা যে প্রশ্ন করেছেন সেগুলি হল-
২০১৯ সালের আগে পর্যন্ত সুশান্তের কোনও রকমের মানসিক সমস্যা ছিল না। তাহলে কী এমন হল যে রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার পরেই তাঁর মানসিক সমস্যা দেখা দিল?
যদি সুশান্তের মানসিক সমস্যা ছিল ও সেই কারণে তাঁকে ডাক্তার দেখানো হত, তাহলে তার জন্য কেন পরিবারের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি?
সুশান্তকে কী ওষুধ দেওয়া হত এবং ডাক্তারদের উপর রিয়ার কোনও প্রভাব ছিল কিনা?
হঠাৎ করে কেন সুশান্তকে ছেড়ে রিয়া চলে যান? তাঁর মানসিক অবস্থা খারাপ জেনেও কেন হঠাৎ সব সম্পর্ক ছিন্ন করে নেন?
সুশান্তের কোটাক মহীন্দ্রা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে এমন কার অ্যাকাউন্টে ১৫ কোটি টাকা ট্রান্সফার হয়েছে, যে অ্যাকাউন্ট সুশান্তের নয়?
সুশান্ত জৈব কৃষির জন্য কেরলে জায়গা কিনতে চেয়েছিলেন। তাহলে কেন সেই কাজে রিয়া তাঁকে বারণ করেন? প্রসঙ্গত, সুশান্তের মৃত্যুর বিষয়ে ইতিমধ্যেই ৪০ জনের উপর মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মুম্বই পুলিশ।