শুক্রবার থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু করতে চান বলে গতকালই রাজ্যপালের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন গেহলট। কিন্তু বুধবার সকালে ফাইলবন্দি সেই প্রস্তাব ফেরত পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভার অধিবেশন ডাকার আগে ২১ দিনের নোটিস দেওয়া প্রয়োজন। এই নিয়ে তৃতীয়বার বিধানসভার অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব ফেরালেন রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র।
এরপর বুধবার ফের রাজভবনে ছুটে যান গেহলট। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে গত এক মাসে এই নিয়ে চতুর্থ বার বৈঠক করেন তিনি। রাজভবনে ঢোকার মুখে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আসলে উনি কী চান, তা জানতে যাচ্ছি। ২১ দিনের নোটিস চান বা ৩১ দিনের, শেষমেশ আমরাই বিজয়ী হব।’
বিধানসভার অধিবেশন ডাকা নিয়ে রাজ্যপালের অপারগতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান হুইপ মহেশ জোশী। তিনি বলেন, ‘বিধানসভার অধিবেশন ডাকায় আপত্তি করছেন কেন রাজ্যপাল? আসলে করোনা কোনও ইস্যুই নয়। বরং রাজস্থানে সুস্থতার হার বেশ ভাল। আর আস্থাভোটেরই বা কী দরকার। আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। এ ব্যাপারে সন্দেহ থাকলে রাজ্যপাল আস্থাভোটের নির্দেশ দিলেই পারেন! তা না করে রাজ্যপাল এমন সব প্রশ্ন করছেন, যা ওঁর এক্তিয়ারের মধ্যেই পড়ে না। আমাদের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন রয়েছে। এ কথা একাধিক বার রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে।’
পাইলট ও তাঁর অনুগামীরা গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করার পর থেকেই গত এক মাস রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। আস্থাভোটে ক্ষমতার প্রমাণ দিতে লাগাতার বিধানসভা অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব দিয়ে আসছে গেহলট শিবির। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দেননি রাজ্যপাল। বরং সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী গেহলটকে লেখা চিঠিতে অধিবেশন ডাকা নিয়ে তিনটি প্রশ্ন তোলেন তিনি। জানতে চান, বিধানসভার কর্মসূচি কী এবং অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে চান কি না। অধিবেশন ডাকা হলে, করোনা আবহে কী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে, তা-ও জানতে চান।