গত মাসেই হায়দ্রাবাদের একটি কোভিড কেয়ার সেন্টারের বিরুদ্ধে মৃত্যুর আগে একগুচ্ছ অভিযোগ জানিয়ে সেলফি ভিডিও তুলেছিলেন ৩৪ বছরের এক করোনা রোগী। সেখানে ওই যুবককে বলতে শোনা গিয়েছিল, তিনি শ্বাস নিতে পারছেন না। ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা নেই। এবার সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে। যন্ত্রণায় ছটফট করছেন রোগী, সাহায্য চাইছেন, এমনই মর্মান্তিক ভিডিও ঘিরে ফের তোলপাড় শুরু হয়েছে নানা মহলে। ‘শ্বাস নিতে পারছি না আমি। জল তেষ্টায় গলা-বুক শুকিয়ে যাচ্ছে। এখানে জলের কোনও ব্যবস্থাই নেই। আমাকে অন্য কোথাও নিয়ে যান’, একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে। সেই সঙ্গে হাসপাতালের বেডে শোওয়া এক কোভিড রোগীর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
সূত্রের খবর, এই ঘটনা ঝাঁসি মেডিক্যাল কলেজের। ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল ইন্টারনেটে। সেখানে দেখা গিয়েছিল, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন একজন রোগী। জানাচ্ছেন, তিনি করোনা আক্রান্ত। কিন্তু তাঁর সঠিক চিকিৎসা হয়নি হাসপাতালে। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে জল চেয়েও পাচ্ছেন না তিনি। হাসপাতালের অব্যবস্থার দিকেও আঙুল তুলেছেন ওই রোগী। জানা গিয়েছে, এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হয় রোগীর। ঠিক কোন সময় ভিডিও তোলা হয়েছিল, কে বা কারা ভিডিওটি তুলেছিলেন এবং তার কতক্ষণ পরে ওই কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়, এই ব্যাপারে সঠিক খবর এখনও জানা যায়নি। ঝাঁসির চিফ মেডিক্যাল অফিসার জিকে নিগম বলেছেন, করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি দিনকয়েক আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
তবে এই ভিডিও-র ব্যাপারে তিনি কিছু জানাতে চাননি। অভিযোগ কতটা সত্যি সে ব্যাপারেও মুখ খোলেননি তিনি। অন্যদিকে, গত রবিবার প্রয়াগরাজের একটি হাসপাতাল চত্বরের ঝোপ থেকে এক কোভিড রোগীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ৫৭ বছরের ওই রোগীর পরিবার হাসপাতালের চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে একটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যায়, রোগী হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসছেন। এর পরেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় একটি ঝোপের ভেতর থেকে। পরিবারের দাবি ছিল, হাসপাতালে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল রোগীকে। সেই কারণেই তিনি বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। যদিও ইতিমধ্যেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এতে বিতর্ক আরও দানা বেঁধেছে।