একে করোনা আবহ, তার উপর লকডাউনের জেরে নির্বিচারে কর্মী ছাঁটাই। এমনভাবেই এই লকডাউনে কাজ খুঁইয়ে ছিলেন হায়দ্রাবাদের আইটি কর্মী উনদাদ সারদা। অতঃপর এমন কঠিন সময়ে প্রায় অথৈ জলে পড়তে হয় তাঁকে। তাই সংসারের হাল ধরতে গিয়ে রাস্তায় সবজি বিক্রি করতে বসেছেন ওই মহিলা। কারণ, এই সময়ে নতুন করে কোথাও চাকরির আবেদনও করা যাবে না। তাই সবজি বিক্রি করেই যা হোক দুটো পয়সা আসবে, সেই আশায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ঘটনা নজরে আসতেই ফের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন অভিনেতা সোনু সুদ। খোঁজ-খবর নিয়ে ওই যুবতীকে চাকরি দিলেন তিনি।
চাকরি চলে যাওয়ার পর থেকেই রোজ ভোর চারটের সময় ঘুম থেকে উঠে পাইকারী বাজারে গিয়ে সবজি কেনেন সারদা। এরপর প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা সময় ফুটপাথে বসেই সেই সবজি নিয়ে হাঁক পারেন খদ্দেরদের আশায়। হায়দ্রাবাদে একটি বেসরকারি আইটি কোম্পানিতে সদ্য চাকরি পেয়েছিলেন সারদা। তবে কাজে যোগ দেওয়ার মাস তিনেকের মধ্যেই করোনা জাঁকিয়ে থাবা বসায় দেশে। তখনই চাকরি হারান তিনি। আপাতত সোনু সুদের সৌজন্যেই ফের সুখের মুখ দেখার আশায় গোটা পরিবার।
টুইটারে সোনু জানিয়েছেন যে, তাঁর লোকজন ইতিমধ্যেই সারদার সঙ্গে দেখা করেছেন। বিশদে তাঁর সম্পর্কে জানাও হয়ে গিয়েছে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, হাতে গরম জব লেটারও দেওয়া হয়ে গিয়েছে সারদাকে। প্রসঙ্গত, হায়দ্রাবাদের এই ঘটনা সোনুর নজরে এনেছিলেন জনৈক রিচি শেলসন নামে এক নেটিজেন। ওই ব্যক্তিকে জবাব দিয়েই এই টুইটটি করেছেন সোনু।
আর স্বয়ং সোনু সুদের কাছ থেকে এভাবে চাকরি পাওয়ার পর আনন্দে আত্মহারা বছয় ছাব্বিশের সারদা। উচ্ছ্বসিত যুবতীর কথায়, “‘সোনু সুদ ভাইয়া ফোন করেছিলেন। ওঁকে দেখতাম, এই লকডাউনে কীভাবে নিঃস্বার্থে মানুষের উপকার করে চলেছেন। যখন আমায় ফোন করলেন, আমি একপ্রকার চমকেই গিয়েছিলাম। ভীষণ খুশি আমি ও আমার পরিবার।” তবে চাকরি সম্পর্কে বিস্তারিত এখনও কিছু জানাননি যুবতী।