করোনার বলি এবার সরকারি হাসপাতালের নার্স। এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের বছর একচল্লিশের নার্সের মৃত্যু হয়েছে আজ সকালেই। সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে বজবজের বাসিন্দা নার্সের পরিবারকে শেষ দেখা করার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। নিয়ম মেনে শেষকৃত্য হতে পারে পুরসভার তত্বাবধানে।
তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন এসএসকেএম হাসপাতালের সুপার রঘুনাথ মিশ্র। সরাসরি চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের এভাবে মৃত্যুতে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে চিন্তার ভাঁজ চওড়া করছে স্বাস্থ্যকর্তাদের কপালে।
এসএসকেএমের সুপার রঘুনাথ মিশ্র জানান, ৪১ বছরের নার্সের শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। গত ১৬ তারিখ হাসপাতালেই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তখনই তাঁকে এসএসকেএমের কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিনে ভরতি করা হয়। এরপর তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় কোভিড পরীক্ষার জন্য। ১৮ তারিখ রিপোর্ট আসে পজিটিভ। তারপরই তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই এতদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন বজবজের বাসিন্দা এই সেবিকা। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার সকালে হার মানলেন। প্রিয়াঙ্কা মণ্ডলের ১১ বছরের এক পুত্রসন্তান আছে। তাঁর পরিবারের সকলের নমুনা সংগ্রহ করা হবে করোনা পরীক্ষার জন্য। আপাতত তাঁদের সকলকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে খবর।
যেহেতু এসএসকেএমের নার্স অসুস্থ হওয়ার আগে পর্যন্ত হাসপাতালে কাজ করেছিলেন, তাই হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগটি পুরো স্যানিটাইজ করা হয়েছে। হাসপাতালের যেসব কর্মী, রোগীরা তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করার বন্দোবস্ত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে এসএসকেএম সূত্রে।