বিক্ষুব্ধ সচিন পাইলটের পাশাপাশি দিন কয়েক ধরে রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের সঙ্গেও এক ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’ চলছে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের। বহু টালবাহানার পর অবশেষে সোমবার কলরাজ মিশ্র চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে তিনি রাজি আছেন। কিন্তু সরকারকে তিনটি শর্ত মানতে হবে। একইসঙ্গে তিনি কয়েকটি প্রশ্নও তোলেন। রাজ্যপালের শর্ত ও প্রশ্নগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
রাজ্যপাল চিঠিতে লিখেছেন, সরকার কি আস্থাভোট নিতে চায়? সেক্ষেত্রে অধিবেশন শুরুর ২১ দিন আগে কি প্রত্যেক বিধায়ককে জানানো উচিত নয়? মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে আস্থাভোটের কথা বলেননি। কিন্তু প্রকাশ্যে তিনি একাধিকবার বলেছেন, বিধানসভার অধিবেশন বসলে সরকারের গরিষ্ঠতা প্রমাণ করবেন। রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন, বিধানসভার অধিবেশন বসলে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা যাবে কীভাবে?
প্রসঙ্গত, বিধানসভার অধিবেশন ডাকার জন্য গেহলট দু’বার রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। প্রথমবার রাজ্যপাল ছ’টি কারণ দেখিয়ে আবেদন নাকচ করে দেন। তিনি বলেছিলেন, কবে অধিবেশন চান, সেখানে কী আলোচনা হবে, তা মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে উল্লেখ করেননি। সর্বোপরি বিদ্রোহী নেতা সচিন পাইলট ও তাঁর অনুগামীদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হচ্ছে। এই অবস্থায় অধিবেশন ডাকা সম্ভব নয়। এর পরেই কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টে সচিনদের নিয়ে আবেদন তুলে নেয়।
মুখ্যমন্ত্রী দ্বিতীয়বার আবেদন করেন গত শনিবার। তাতে নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেন, ৩১ জুলাই থেকে অধিবেশন শুরু হোক। সেখানে করোনা অতিমহামারী নিয়ে আলোচনা হবে। সোমবার সকালে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয় আবেদনও নাকচ হয়ে গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অশোক গেহলট বলেন, ‘রাজ্যপাল ফের ছ’পাতার প্রেমপত্র পাঠিয়েছেন।’ কিন্তু পরে জানা যায়, নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে অধিবেশন ডাকলে রাজ্যপালের আপত্তি নেই। সেই শর্তগুলি নিয়েই আলোচনায় বসেছে রাজস্থানের মন্ত্রীসভা।