আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিজয়লক্ষ্মী। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। এক সহ-অভিনেতা তথা বর্তমানে রাজনৈতিক নেতার হাতে হেনস্থা হওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর বন্ধুরা। ভিডিও বার্তায় নিজের এই সিদ্ধান্তের কারণও জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
রবিবার রাতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন বিজয়লক্ষ্মী। সেখানে তিনি বলেন, “এটা আমার শেষ ভিডিও। গত কয়েক মাস ধরে সীমান ও তাঁর দলের লোকেদের জন্য আমি সাংঘাতিক চাপের মধ্যে রয়েছি। আমি আমার মা ও বোনের জন্য সবকিছু সহ্য করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে হরি নাদার আমাকে হেনস্থা করেন। আমি এর মধ্যেই আমার রক্তচাপের কয়েকটা ট্যাবলেট খেয়ে নিয়েছি। তাই ধীরে ধীরে আমার রক্তচাপ কমে যাবে ও কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি মারা যাব।”
ভিডিওতে বিজয়লক্ষ্মী আরও বলেন, “আমার ফ্যান যাঁরা এই ভিডিওটি দেখছেন, তাঁদের আমি বলতে চাই শুধুমাত্র আমি কর্নাটকে জন্মেছি বলে সীমান আমাকে অনেক অত্যাচার করেছে। একজন মহিলা হিসেবে আমি আমার সবটা দিয়ে তা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি আর এই চাপ সহ্য করতে পারছি না। আমি পিল্লাই কমিউনিটি থেকে এসেছি। এই কমিউনিটি থেকেই এলটিটিই নেতা প্রভাকরণ এসেছিলেন। প্রভাকরণের জন্যই আজ সীমান এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছে। কিন্তু এখন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে ক্রমাগত হেনস্থা করে।”
সূত্রের খবর, নিজের বাড়িতেই রক্তচাপের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন তিনি। তাঁর বন্ধুদের দাবি অভিনেতা তথা তামিলার কাটচি দলের নেতা সীমান ও তাঁর দলের হাতে হেনস্থা হওয়াতেই তিনি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিলেন। আর এক রাজনৈতিক দল পানাংকাট্টু পাড়াই কাটচির নেতা হরি নাদারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা হয়েছে।