সোমবার ফ্রান্স থেকে রওনা দিয়ে দিল রাফাল বিমান। মাঝে আরব আমিরশাহীতে একবার থামবে এই বিমান। তারপর আম্বালায় এসে পৌঁছবে বুধবার।
২০১৬ সালে ভারত সরকার ফরাসি সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে মোট ৩৬টি রাফাল বিমান কেনার কথা বলে। তারই প্রথম পাঁচটি বিমান ২৯ জুলাই ভারতের হাতে এসে পৌঁছবে। হরিয়ানার আম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ‘গোল্ডেন অ্যারো’ ১৭ নম্বর স্কোয়াড্রনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে পাঁচটি রাফাল বিমানকে।
সব ঠিক থাকলে অতিদ্রুত কাজেও নেমে পড়বে এই বিমানগুলি। এগুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে লাদাখ সীমান্তে। শেষ কয়েকমাস ধরে দফায় দফায় ভারতীয় বায়ুসেনার চালকেরা ফ্রান্সে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সেই প্রশিক্ষণই এখানে কাজে লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শেষ মুহূর্তে একটি সিদ্ধান্ত বদল করা হয়েছে।
তাতে রাফাল বিমানকে হ্যামার মিসাইলে সজ্জিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। এর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল স্পাইস ২০০ নামে বিশেষ বোমায় সজ্জিত করা হবে বিমান। তবে আপাতত সিদ্ধান্ত বদল করা হয়েছে। লিবিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ায় রাফাল বিমানে হ্যামার মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছিল। বিমানবাহিনী সূত্রে খবর, এবারে তাই হ্যামার মিসাইলই ব্যবহার করা হবে।
বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে নাম না করে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘স্পাইস ২০০০ বোমাটি বিমানে ইন্টিগ্রেশন করতে অনেকটা সময় বেশি লাগবে। তাই যাতে বেশি সময় নষ্ট না করে বিমানটিকে তৈরি করে ফেলা যায়, সেই জন্য হ্যামার মিসাইল ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে কাজ দ্রুত হবে।’ হ্যামার একটি রকেট নির্ভর মিসাইল যেটি আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপ করা যায়। ৬০ কিমি দূরত্বের মধ্যে এটি লক্ষ্যভেদ করতে পারে।
অন্যদিকে স্পাইস বোমার ব্যবহার, যা বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের সময় ভারতীয় বায়ুসেনা করেছিল, সেটিও বিমানে ব্যবহার করা হবে। তবে এখনই নয়৷ আপাতত দ্রুত রাফাল বিমানকে সীমান্তে সুরক্ষার জন্য তৈরি করে কাজে নামিয়ে ফেলতে চাইছে বায়ুসেনা।