করোনার জেরে দীর্ঘ লকডাউনে বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে দীঘা মোহনার শুঁটকি মাছের ব্যবসা! এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী থেকে কর্মচারী, সমস্যায় পড়েছেন সকলেই। তাঁরা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন টানা প্রায় ৫ মাস।
ভিন রাজ্য, এমনকী বাংলাদেশের মতো ভিন দেশেও এই শুঁটকি মাছ রফতানি করতেন তাঁরা। একদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ। অন্যদিকে করোনা থাবার আতঙ্ক। শুঁটকি মাছ কিনতে চাইছেন না কেউই। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা যেসব ব্যবসায়ীরা শুঁটকি মাছ পাইকারি বাজারে নিয়ে যেতেন, তাদেরও এখন দেখা মিলছে না। অথচ প্রতি বছরের মতো এবারও মোহনার শুঁটকি ব্যবসায়ীরা মহাজনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কাঁচা মাছ নগদে কিনে শুটকি প্রস্তুত করে ফেলে রেখেছেন। পড়ে পড়ে সেসব নষ্টও হয়ে যাচ্ছে।
দীঘায় আসা পর্যটকরাও শুটকি মাছ কিনতে ভিড় জমাতেন। বিশেষ করে ইলিশ, বোমলা,ফিতে, রুলি,চিংড়ি, তপসে, ট্যাঁরা, ভেটকি, ভোলা, পটল, মাছের শুঁটকি পর্যটকদের কাছে বেশি বিক্রি হতো। ভিন রাজ্যেও সরবরাহ হতো। কিন্তু বর্তমানে সবকিছুই পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। বড়সড় ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে এই ব্যবসার মালিকরা কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছেন না।