গত ৬ জুলাই একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল ইউজিসি। যেখানে বলা হয়েছিল, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিতে হবে। সেই নির্দেশিকাকেই চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তারপরেই বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি এমআর শাহের বেঞ্চের সেই শুনানিতে আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে ইউজিসি-র রিপোর্ট তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিকে, এ নিয়েই এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীর কাছে মমতার অনুযোগ, “এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা হলে করোনা হু হু করে ছড়িয়ে পড়বে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা হওয়া নিয়ে যে নির্দেশিকা জারি করেছে ইউজিসি, পড়ুয়াদের স্বার্থেই তা বাতিল করা হোক। এ বিষয়ে আমি ১১ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠিও দিয়েছি।” তিনি জানিয়েছেন, পরীক্ষা বাতিল করে বরং আগের সেমেস্টারের প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করা হোক। ইতিমধ্যেই বাংলার সরকার এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ৩১ জন পড়ুয়া এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, করোনার এই সঙ্কটের পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত পরীক্ষা বাতিল করা হোক। আগের ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টগুলির ভিত্তিতে রেজাল্ট প্রস্তুত করুক বিশ্ববিদ্যালয়। ১৩টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে অভিযোগ করা পড়ুয়াদের দাবি, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পড়ুয়াদের মার্কশিট দেওয়া হোক।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথার মধ্যে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে নিয়েও অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আপনি অসহযোগিতা করেননি, আপনার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু সাংবিধানিক পদে থেকে বারবার রাজ্যকে কেউ-কেউ (পড়ুন রাজ্যপাল) অসহযোগিতা করছেন। আপনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।”