করোনা সংক্রমণের মধ্যেই রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর আয়োজন নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে৷ তাঁর প্রস্তাব, মন্দির চত্বরে ভিড় না করে অনলাইনে গোটা পুজোর অনুষ্ঠানের সম্প্রচার করা হোক৷ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, লক্ষ লক্ষ রাম ভক্ত যদি ভূমি পুজো দেখার জন্য ভিড় করেন, তাহলে তাঁদের কি আটকাবে প্রশাসন? কটাক্ষের সুরে তিনি বলেছেন, ‘তাহলে কি আমরা করোনা মহামারী ছড়িয়ে দেওয়ারই অনুমতি দিচ্ছি?’
উদ্ধব ঠাকরে শিবসেনার সভাপতি। রাম জন্মভূমি আন্দোলনে শিবসেনারও ভূমিকা কম ছিল না। তাও স্মরণ করিয়ে দেন বালাসাহেব-পুত্র। রবিবার শিবসেনার মুখপত্র সামানায় উদ্ধবের এই বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। উদ্ধবের বক্তব্য, লক্ষ লক্ষ রামভক্তদের কাছে এটা একটা বড় দিন। অনেক আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। তাঁদের আটকে যদি বড় মাথারা সেখানে গিয়ে ভূমিপূজন করেন তাহলে তাঁদের ভাবাবেগে ধাক্কা লাগবে। তিনি আরও বলেন, ‘রামমন্দির কোনও সাধারণ মন্দির নয়। এর পিছনে রয়েছে লম্বা ইতিহাস।’
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি চাইলে ওই অনুষ্ঠানে যেতে পারি। কিন্তু আমি চাই না লক্ষ লক্ষ রাম ভক্তকে আটকে দিয়ে নিজে যেতে। এটা তাঁদের আবেগের সঙ্গে তঞ্চকতা করা হবে।’ ২০১৮ সালে মহারাষ্ট্র থেকে কয়েক হাজার শিব সৈনিককে নিয়ে অযোধ্যায় গিয়ে ধর্নায় বসেছিলেন উদ্ধব। সরযূ নদের তীরে বসে দাবি জানিয়েছিলেন, দ্রুত রাম মন্দির নির্মাণের ফয়সালা করতে হবে। তারপর ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় দেয়।
আগামী ৫ অগস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপূজন হবে। রামজন্মভূমি চত্বরে ভূমিপূজনের সময় উপস্থিত থাকবেন দেড়শ থেকে ২০০ জন। সেখানে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হবে বলে জানিয়েছে ট্রাস্ট। ১৯৮৮ সালে যখন প্রথমবার রামমন্দিরের নক্সা করা হয়, তখন তার উচ্চতা ছিল ১৪১ ফুট। পরে তা বাড়ানো হয়েছে ২০ ফুট। প্রথম নক্সার সঙ্গে মন্দিরে নতুন দু’টি মণ্ডপ যুক্ত করা হয়েছে। ভূমিপূজনের পরে মন্দির তৈরি হতে তিন বছর লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।