অন্যদের মতো করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে জেরবার কর্ণাটকের ইয়েদুরাপ্পা সরকারও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নতুন করে লকডাউন জারি হয়েছে রাজধানী বেঙ্গালুরু-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। এর মাঝেই ২০১৯ সালের নভেম্বরে গোকাক বিধানসভার উপনির্বাচনে আদর্শ আচরণ বিধি ভাঙার অভিযোগে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেই সমন পাঠাল আদালত। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে কর্ণাটকের রাজ্য রাজনীতিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে উত্তর কর্ণাটকের বেলগাম জেলার গোকাক বিধানসভার উপনির্বাচন হয়। সেসসময় গোকাক বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের ভোটারদের নিয়ে স্থানীয় বাল্মীকি স্টেডিয়ামে একটি জনসভার আয়োজন করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী জেআর লক্ষ্ণণ রাও। ওই জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েই নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই সভায় লিঙ্গায়েত ভোটারদের ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে সম্প্রদায়ের নামে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন।
এর জেরে গোকাকের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অফ ফার্স্ট ক্লাস কোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। জেডিএস ও কংগ্রেসের তরফে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই গোকাক থানাকে তদন্তের দায়িত্বেও দেওয়া হয়। কিন্তু, পরে তদন্তকারী অফিসার আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়ে মামলাটি খারিজের আবেদন করেন। তাতে অবশ্য গুরুত্ব দেননি বিচারক। উলটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার নামে সমন জারি করে।