অবশেষে জিনেদিন জিদানকে নিয়ে সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দিল রিয়াল মাদ্রিদ। লিগ শেষেই ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেসের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন রিয়াল ম্যানেজার। সেই বৈঠকের পরই দু’পক্ষ রাজি হয়েছে, চুক্তি নবীকরণের জন্য। অর্থাৎ, সামনের বছরেও করিম বেঞ্জেমাদের ম্যানেজার হিসেবে জিদানকেই দেখা যাবে। প্রসঙ্গত, লা লিগা নিশ্চিত করেও নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সুনিশ্চিত বার্তা দিচ্ছিলেন না জিজু। সেই ঘটনা নিয়ে খানিক জলঘোলা হয়েছিক। আপাতত সেসব জল্পনায় ইতি টানল ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
রিয়ালে এমনিতে ম্যানেজারদের স্থায়িত্ব বা ভরসা খুব একটা নেই। প্রেসিডেন্ট পেরেসের আমলেই একাধিক ম্যানেজার স্বল্প সময় দায়িত্ব থেকে সরে গিয়েছেন। জিদানেরও এটি দ্বিতীয় মেয়াদ। প্রথম বার যথেষ্ট সফল হওয়ার পরেও তিনি দায়িত্ব ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। শোনা যায়, দল পরিচালনা নিয়ে একাধিক শর্ত আরোপ করে তবেই তিনি ফেরত এসেছেন। অন্য কারও অঙ্গুলিহেলনে নয়, তিনি দল চালাবেন নিজের পছন্দমত। তাতে সাফল্য দিতে না পারলে সরে যাবেন। খানিক এমনটাই ছিল তাঁর শর্ত।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, এখনও রিয়ালে সকলেই যে জিদানের বন্ধু, এমন নয়। তবে যে ভাবে কোভিড আতঙ্ক কাটিয়ে লিগ শুরুর পর পিছন থেকে এসে বার্সেলোনার মুখের সামনে থেকে লা লিগা ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, তার পরে তাঁর পরিবর্তনের আওয়াজ তোলার সাহস কে দেখাবে? মেসিদের বার্সায় কিকে সেতিয়েন যেমন ফুটবলারদের আস্থা হারিয়েছেন, রিয়ালে ঠিক তার উল্টো দৃশ্য। ক্লাবের কর্তাদের যদি অস্বস্তি থাকেও, রিয়াল ফুটবলারদের একচেটিয়া সমর্থন জিদানের দিকে।
তবে এতকিছুর পরেও জিজুর গলায় কাঁটা হয়ে বিঁধছেন শুধু গ্যারেথ বেল এবং হামেজ রদ্রিগেস। এই দু’জনকে নিয়মিত ভাবে প্রথম একাদশের বাইরে রেখেছেন রিয়াল ম্যানেজার। এবং, ওয়েলসের বেল বা কলম্বিয়ার হামেজ কেউই যে এই ঘটনায় খুব একটা সন্তুষ্ট নন, তা তাঁদের অভিব্যক্তিতে পরিষ্কার। তবু ড্রেসিংরুমের নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা জিদানের দিকে। সে সব দেখেই সম্ভবত অধিনায়ক র্যামোস লা লিগা ট্রফি হাতে তোলার পরেই পেরেস নিজে বলে দেন, ‘‘জিদান রিয়ালের জন্য বড় আশীর্বাদ।’’